নতুন টাকায় আগ্রহ নেই গ্রাহকদের
ঈদের বাড়তি আনন্দ এনে দেয় নতুন টাকা। বিশেষ করে ঈদ সেলামিতে নতুন টাকার জুড়ি নেই। আর গ্রাহকদের জন্য প্রতি ঈদে নতুন টাকার সরবরাহ রাখে ব্যাংক। তবে মহামারি করোনার কারণে গত ঈদের (ঈদুল ফিতর) মতো এবারও নতুন টাকার জন্য নির্দিষ্ট বুথ রাখেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গ্রাহকদের জন্য ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে এসব টাকা।
অন্যদিকে ব্যাংক লেনদেনে শেষ মুহূর্তে গ্রাহকের উপস্থিতি চোখে পড়লেও নতুন টাকার প্রতি আগ্রহ কম গ্রাহকের। ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দিনের অন্যান্য লেনদেনের জন্য গ্রাহক এলেও নতুন টাকার গ্রাহক কম। ঈদের আগ মুহূর্ত হলেও করোনার কারণেই এবার গ্রাহক প্রয়োজন ছাড়া ব্যাংকমুখী হচ্ছেন না।
রাজধানীর দুই সিটি কর্পোরেশনের পশুর হাট সংলগ্ন ব্যাংকের শাখায় বিশেষ ব্যবস্থায় ঈদের আগের দুই দিন আজ সোমবার ও আগামীকাল মঙ্গলবার রাত ৮ টা পর্যন্ত ব্যাংক কার্যক্রম চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি পশুর হাটে অস্থায়ী বুথ স্থাপনেরও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পশু ব্যবসায়ীদের ব্যাংকিং লেনদেনের সুবিধার্থে এ নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সোমবার বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, এবার লকডাউনে ঈদের পর সরকারি ছুটি কম হওয়ায় অনেকেই শহরে থেকে যাচ্ছেন। সাধারণত গ্রামে গেলে নতুন টাকা তারা সঙ্গে করে নিয়ে যান ঈদ সেলামি দেয়ার জন্য। আর যারা রাজধানীর স্থায়ী বাসিন্দা তারাও করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় প্রয়োজন ছাড়া ব্যাংকমুখী হচ্ছেন না।
সোনালী ব্যাংক মতিঝিল শাখার এক কর্মকর্তা বলেন, গ্রাহক ব্যাংকে আসছেন স্বাভাবিক লেনদেনের জন্য। নতুন টাকার প্রতি তেমন আগ্রহ নেই। তবে যারা নিচ্ছেন তারা সবাই ২০০ টাকার নোট নিচ্ছেন। আমরাও গ্রাহকদের চাহিদা মতো দিতে চেষ্টা করছি।
৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি নতুন নোট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নতুন নোটের মধ্যে রয়েছে দুই, ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০, ২০০, ৫০০ এবং ১০০০ টাকার। প্রতিদিনই চাহিদার আলোকে ব্যাংকগুলোকে সরবরাহ করা হচ্ছে নতুন নোট। এর আগে গত ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১৪ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে ছেড়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত বছরও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নতুন টাকা দেয়া হয়নি। মূলত করোনার কারনে স্বাস্থ্যবিধির কথা বিবেচনায় রেখেই ওই সময়ে নতুন টাকা দেয়া হয়নি কাউন্টার থেকে।
ইএআর/এসএস/জেআইএম