রাঙামাটিতে সড়ক ও নদীপথে গড়ে উঠছে স্থলবন্দর যোগাযোগ ব্যবস্থা
সড়ক ও নদীপথে গড়ে উঠছে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর হতে বাস্তবায়নাদীন রাঙামাটির বরকলের থেগামুখ স্থলবন্দর পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা।
আর এতে অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব ব্যাংক। এ লক্ষ্যে যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন ‘চিটাগং হিল ট্টাক্টস কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট’ নামে প্রকল্পের ট্রান্সপোর্ট ইকোনোমিস্ট কেএসএইচ রাও বুধবার এলাকা পরিদর্শনে রাঙামাটি সফর করেন।
বেলা সাড়ে ১১টায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমার সঙ্গে তার অফিসকক্ষে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন কেএসএইচ রাও। সাক্ষাতে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে বরকলের থেগামুখ স্থলবন্দরে যাওয়ার জন্য নির্মাণাধীন সড়ক নির্মাণ সম্পর্কে অবহিত করে মি. রাও বলেন, বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ওই সড়কটি নির্মাণ করার জন্যে সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু করেছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী-বিলাইছড়ি-জুরাছড়ি-বরকল হয়ে ১২৩ কিলোমিটারের একটি দুই লেন বিশিষ্ট সড়ক নির্মাণের জন্য জরিপ কাজ অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে চন্দ্রঘোনায় একটি চার লেনবিশিষ্ট ব্রিজ এবং বরকলে আরেকটি ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। এছাড়া প্রকল্পে চট্টগ্রাম থেকে রাঙামাটি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার, রাঙামাটিতে ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণ, রাঙামাটি থেকে ছোট হরিণা পর্যন্ত জলপথে যাওয়ার জন্য ড্রেজিং এবং ছোট হরিণা থেকে থেগামুখ পর্যন্ত ৮ কিলোমিটারের একটি রাস্তা নির্মাণ করা হবে। জবাবে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা চট্টগ্রাম থেকে থেগামুখ স্থলবন্দর পর্যন্ত যাতায়াতের জন্য সড়ক এবং নদীপথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, রাস্তাটি নির্মিত হলে এলাকার কৃষিজ পণ্য পরিবহন, পর্যটন শিল্পের বিকাশ এবং এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বেড়ে যাবে। তিনি রাস্তা নির্মাণের সময় এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং স্থানীয় সংস্কৃতি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং রাস্তা নির্মাণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন যাতে তাদের ক্ষতিপূরণের অর্থ পায় সেদিকে নজর রাখার জন্য অনুরোধ জানান।
সাক্ষাৎকালে ‘চিটাগং হিল ট্টাক্টস কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট’ এর প্রকৌশলী কামরুল হাসান, পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনতোষ চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
সুশীল প্রসাদ/এমএএস/এমএস