অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি বরাদ্দ দেয়া শুরু বেপজা’র
অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগকারীদের জমি বরাদ্দ দেয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা)।
রোববার (১৩ জুন) রাজধানীর ধানমন্ডিতে বেপজা কমপ্লেক্সে দেশি-বিদেশি এমন ১০টি প্রতিষ্ঠানের কাছে সাময়িক বরাদ্দপত্র প্রদান করা হয়।
বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম এ বরাদ্দপত্র হস্তান্তর করেন এসপিপি, এনডিইউ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি ও জি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে।
বেপজা জানায়, ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে অবস্থিত বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করে দেশি-বিদেশি ৭০টি প্রতিষ্ঠান। এদের মধ্য থেকেই ১০টি প্রতিষ্ঠানকে সাময়িক বরাদ্দপত্র প্রদান করা হয়।
বরাদ্দপত্র পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্যের দুইটি, দক্ষিণ কোরিয়ার দুইটি, চীনের দুইটি, যুক্তরাষ্ট্রের একটি, হংকংয়ের একটি, কানাডার একটি ও বাংলাদেশের একটি রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ৩৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যেখানে ৫১ হাজার ৩০০ জন বাংলাদেশি নাগরিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে।
বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম বিনিয়োগকারীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘আপনাদের বিনিয়োগ সুরক্ষায় বেপজা তার চেষ্টার কোনো কমতি রাখেনি।’
তিনি জানান, অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়নে বেপজা তার ৪০ বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েছে।
বেপজার সফলতার কথা উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম বলেন, ২০২১ সালে জানুয়ারি-এপ্রিল বেপজার বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে ৭৯ শতাংশ। যা গত বছরের একই সময়ের থেকে বেশি।
তিনি বলেন, জাতীয় রফতানিতে বেপজা প্রায় ২০ ভাগ অবদান রাখছে। আশা করা হচ্ছে ৮টি ইপিজেডের সঙ্গে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল যুক্ত হলে এ অবদান উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে ‘বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল’-এর ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন।
পরবর্তীতে ১১৫০ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভৌত অবকাঠামো নির্মাণে ‘বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল, মীরসরাই-১ম পর্যায়’ প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদিত হয়।
প্রথম পর্যায়ের কাজের অংশ হিসেবে প্রকল্পের চারপাশে ইতোমধ্যে ডাইক (বাঁধ) নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকল্পের অধীন সম্পূর্ণ এলাকায় মাটি ভরাট কাজ শেষ পর্যায়ে। শিল্প কারখানা স্থাপনের জন্য রাস্তা, পানির লাইন ও বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন কাজও শেষের দিকে।
জেডএইচ/এমএস