লোকসানে বাটা সু, লভ্যাংশে অবনতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:৫৪ এএম, ০২ জুন ২০২১

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপে ধসে পড়েছে বহুজাতিক কোম্পানি বাটা সু’র ব্যবসা। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায় করোনা এতটাই প্রভাব ফেলেছে যে, কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে প্রায় একশ টাকা।

এমন লোকসানের মধ্যে পড়ায় কোম্পানিটির লভ্যাংশেও অবনতি ঘটেছে। ২০২০ সালের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ মাত্র ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর কোম্পানিটি এর আগে কখনো এত কম লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি। এমনকি এমন লোকসানের মধ্যেও কখনো পড়েনি।

এদিকে লভ্যাংশ ঘোষণার পাশাপাশি কোম্পানিটি চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরেও প্রতিষ্ঠানটি লোকসানে রয়েছে।

বুধবার (২ জুন) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে লভ্যাংশ ও চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ওই আর্থিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

লভ্যাংশের বিষয়ে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের নেয়া সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১২ আগস্ট। আর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ জুন।

সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি লোকসান করেছে ৯৬ টাকা ৯৪ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৬৭ টাকা ৯৪ পয়সা।

লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে আজ বুধবার কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে কোনো সার্কিট ব্রেকার থাকবে না। অর্থাৎ শেয়ারের দাম যত খুশি বাড়তে পারবে। তবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নির্ধারিত সীমার নিচে শেয়ারের দাম নামতে পারবে না।

এদিকে চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি লোকসান করেছে তিন টাকা ৫৮ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয় দুই টাকা সাত পয়সা।

মুনাফার পাশাপাশি কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূলেও অবনতি ঘটেছে। চলতি বছরের মার্চ শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ২৬৪ টাকা ৩৫ পয়সা, যা ২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে ছিল ২৬৭ টাকা ৯৪ পয়সা।

এমএএস/এআরএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।