মার্চে ইতিবাচক ধারায় রফতানি
গত বছরের প্রথম দিকে করোনাভাইরাসের আঘাতে পিছিয়ে যেতে শুরু করে বাংলাদেশের পণ্য রফতানি। সে সময় প্রধান রফতানি পণ্য পোশাক খাতে ক্রয়াদেশ বাতিল হতে শুরু করে। ক্রেতারা নতুন করে কোনো ক্রয়াদেশও দিচ্ছিলেন না।
২০২০ সালের মাঝামাঝি সময় অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়। চলতি বছরের প্রথম মাসে রফতানি আয়ে তেমন সুখবর ছিল না। চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ- এই নয় মাসে রফতানিতে সামান্য পিছিয়ে আছে গত বছরের একই সময়ের তুলনায়।
তবে গত মার্চ মাসে বেড়েছে পণ্য রফতানি। এ মাসে বাংলাদেশ থেকে ৩০৭ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি। গত বছরের মার্চে বাংলাদেশে থেকে ২৭৩ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে উঠে আসে এমন তথ্য।
প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ এই নয় মাসে বাংলাদেশ দুই হাজার ৮৯৩ কোটি ৮৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার আয় করেছে পণ্য রফতানি করে। এই আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক ১২ শতাংশ কম। গত বছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত রফতানি হয় তিন হাজার কোটি ডলারের কিছু বেশি।
তবে চলতি বছরের নয় মাসে পণ্য রফতানি আয় আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পিছিয়ে আছে ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এ সময়ে রফতানির লক্ষ্য ছিল তিন হাজার কোটি ডলার সমমূল্যের পণ্য।
এদিকে মার্চ মাসে পণ্য রফতানি বাড়লেও তা লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ দশমিক ৭৯ শতাংশ কম পণ্য রফতানি হয়েছে। এই মাসে ৩৪৪ কোটি ডলারের পণ্য রফতানির পরিকল্পনা ছিল। চলতি অর্থবছরে চার হাজার ১০০ কোটি ডলারের পণ্য রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার।
এসএম/বিএ/জেআইএম