মজুত পর্যাপ্ত, অতিরিক্ত পণ্য না কেনার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৪৯ পিএম, ০৪ এপ্রিল ২০২১
ফাইল ছবি

অডিও শুনুন

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত পর্যাপ্ত রয়েছে, তাই অতিরিক্ত নিত্যপণ্য না কেনার আহ্বান জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

রোববার (৪ এপ্রিল) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. আব্দুল লতিফ বকসীর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত পর্যাপ্ত; স্বাভাবিক ক্রয়ে আস্থা রাখুন।’

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) জানিয়েছে, এ বছর নিত্যপণ্যের দাম বাড়তি থাকার কারণে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম বাড়িয়েছে টিসিবি। রমজানে যেসব পণ্যের বেশি চাহিদা থাকে, সেগুলোর ১০ থেকে ১২ শতাংশ টিসিবির মজুত রয়েছে।

রমজান উপলক্ষে সংস্থাটি সাশ্রয়ী মূল্যে ২৬ হাজার ৫০০ টন ভোজ্যতেল, ১৮ হাজার টন চিনি, ১২ হাজার টন মসুর ডাল, ৮ হাজার টন ছোলা ও ৬ হাজার টন পেঁয়াজ বিক্রি করবে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ১৭ মার্চ থেকে খোলাবাজারে প্রথম ধাপে ৪০০ ট্রাকে ভোজ্যতেল, চিনি, মসুর ডাল ও পেঁয়াজ বিক্রি করে আসছে টিসিবি।

রমজান উপলক্ষে দ্বিতীয় ধাপে ট্রাকের সংখ্যা বৃদ্ধি করে ৫০০টি করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীতে পণ্য বিক্রি করবে ১০০ ট্রাক। তখন ট্রাকসেলে যুক্ত হবে ছোলা ও খেজুর। এসব পণ্য ১ এপ্রিল থেকে ই-কমার্সের মাধ্যমেও বিক্রি করবে সংস্থাটি। কেউ ট্রাক থেকে না কিনলে ই-কমার্স অথবা সরাসরি বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমেও পণ্য কিনতে পারবেন।

এদিকে লকডাউনের খবরে শনিবার (২ এপ্রিল) থেকে বাড়তি পণ্য কিনতে ক্রেতারা বাজারে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। এতে রোববার সকাল হতেই রাজধানীর বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে পাঁচ টাকা।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় আগামী ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে লকডাউন দিয়েছে সরকার। এ সময় শুধু জরুরি সেবা ছাড়া প্রায় সবকিছু বন্ধ থাকবে।

লকডাউন ঘোষণার প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনা-বেচা করা যাবে। বাজার কর্তৃপক্ষ/স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

এই সময়ের মধ্যে সব ধরনের গণপরিবহন (সড়ক, রেল, নৌ, অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে উৎপাদন ও সেবায় নিয়োজিত গণপরিবহনের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। বিদেশগামী বা বিদেশফেরত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না।

এছাড়া সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত অতি জরুরি প্রয়োজন (ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) ছাড়া কোনোভাবেই বাইরে বের হওয়া যাবে না।

খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় কেবল খাদ্য বিক্রয়/সরবরাহ করা যাবে। কোনো অবস্থাতেই হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ করা যাবে না।

শপিংমলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ থাকবে। তবে দোকান, পাইকারি ও খুচরা পণ্য অনলাইনের মাধ্যমে কেনাবেচা করতে পারবে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই সর্বাবস্থায় কর্মচারীদের মধ্যে আবশ্যিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং কোনো ক্রেতা সশরীরে যেতে পারবে না।

আইএইচআর/জেডএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।