বিজিএমইএ নির্বাচন : দুই প্যানেলই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:৫০ এএম, ০৪ এপ্রিল ২০২১

ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর নির্বাচন। রোববার (৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় ভোট শুরু হয়েছে। বেশ উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হওয়া নির্বাচনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোটাররা ভোট দিচ্ছেন। ভোট দিচ্ছেন ‘সম্মিলিত পরিষদ’ ও ‘ফোরাম’ নামে দুই প্যানেলের প্রার্থীরা। দুই প্যানেলই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।

সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল লিডার ফারুক হাসান সাংবাদিকদের বলেন, আমি উদ্যোক্তাদের কাছে কমিটমেন্ট করেছি খাতের উন্নয়নে আগামী দুই বছর নিজেকে উৎসর্গ করব। বিজিএমইএ সদস্যরা আমাকে সে সুযোগ করে দেবে বলে বিশ্বাস করি। আমি আমার পূর্ণ প্যানেলসহ জয়লাভ করব।

তিনি বলেন, নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকে, ফলাফল যাই হোক আমি মেনে নেব। তবে বিজয়ী হলে আমার প্রথম কাজ হবে কারখানা সচল রাখা এবং মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক উন্নয়ন। সরকারের সাথে নেগোশিয়েশন করে এ খাতের উন্নয়নই বড় চ্যালেঞ্জ হবে।

ফোরামের প্যানেল লিডার এ বি এম সামছুদ্দিন বলেন, আমি কাজেই বিশ্বাসী। পোশাকখাতের উন্নয়নে আরও কাজ করার আছে। টেকসই পোশাকশিল্প গড়াই আমার লক্ষ্য। শুধু আমি না সদস্যরা আমার পূর্ণ প্যানেলকে বিজয়ী করবে বলে আমার বিশ্বাস আছে।

তিনি বলেন, আগামীকাল থেকে লকডাউন শুরু হচ্ছে। এ অবস্থায় শ্রমিকের স্বাস্থ্যসুরক্ষা দিয়ে কাজ চলমান রাখা বড় চ্যালেঞ্জ। একের পর এক ঝড় আসছে, এসব প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে এ খাতকে এগিয়ে নিতে হবে।

বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, ভোট সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে হচ্ছে। নতুন বোর্ডের কাছে পণ্যের দাম বাড়ানোসহ অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। তাছাড়া বিজিএমইএর ভাবমূর্তির বিষয় আছে। আশা করছি আগামীর বোর্ড এ খাতের উন্নয়নে আরও কাজ করবে।

নির্বাচন বোর্ড জানায়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোট শুরু হয়েছে, সবাই মাস্ক পরে কেন্দ্রে আসছেন। প্রার্থীদের সমর্থকদের অযথা জটলা না করারও অনুরোধ জানানো হয়েছে। করোনা প্রটোকল মেনে ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশের অনুমোদন রয়েছে। একইসঙ্গে সাংবাদিকদের জন্য আলাদা বুথ স্থাপনের পাশাপাশি নির্বাচন বোর্ড প্রতি ঘণ্টায় আপডেট দেয়া হবে।

প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর ঘরোয়াভাবে প্রচার শুরু করে ‘সম্মিলিত পরিষদ’ ও ‘ফোরাম’ নামে দুই প্যানেলের প্রার্থীরা। এবারের নির্বাচনে ঢাকা ও চট্টগ্রামে সমিতির ৩৫টি পরিচালক পদের জন্য দুই প্যানেলের ৩৫ জন করে মোট ৭০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে ঢাকা অঞ্চলে ভোটার রয়েছেন ১৮৫৩ জন এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের ভোটার ৪৬১ জন।

এর আগে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় এ নির্বাচন নিয়ে কিছুটা দ্বিধা দেখা দিয়েছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দুই প্যানেলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে নির্বাচন বোর্ড। উভয়পক্ষই পূর্বনির্ধারিত সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে মত দেয়।

ইএআর/বিএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।