জ্বালানিতে ক্লিন এনার্জির অংশ বাড়াতে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৫৩ পিএম, ১৫ মার্চ ২০২১

বাংলাদেশের জ্বালানি ব্যবস্থায় ক্লিন এনার্জির অংশ বাড়াতে সরকার প্রণোদনা দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

সোমবার (১৫ মার্চ) ৭ম বার্লিন এনার্জি ট্রানজিশন সংলাপের সাইড ইভেন্টে ‘কার্বনমুক্ত ভবিষ্যতের জন্য কাঠামোগত পরিবর্তন’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সোলার হোম সিস্টেম প্রায় ৬ মিলিয়ন হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে সরকারের বিশেষ প্রণোদনা। বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে বছর ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনা এবং সোলার রোডম্যাপ-২০৪১ প্রস্তুত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান পর্যালোচনা করে গ্যাসভিত্তিক ও নবায়নযোগ্য উৎস হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। পরিকল্পনায় আমদানিকৃত বিদ্যুৎও বিশেষ অবদান রাখবে।

বর্তমানে ভারত থেকে এক হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি হচ্ছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, আগামীতে আরও আমদানি করা হতে পারে। নেপাল ও ভুটান থেকেও জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টি অনেকটা এগিয়ে রয়েছে। ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াটের নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপিত হয়েছে। বিমসটেক, সাসেক, ডি-৮, সার্ক প্রভৃতি আঞ্চলিক, উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা ফোরামের মাধ্যমে আঞ্চলিক গ্রিড নির্মাণের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বাণিজ্য প্রসারে বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে।

রূপকল্প-৪১ বাস্তবায়ন করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ রূপান্তরের কার্যক্রমে উন্নত দেশসমূহকে প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা দিয়ে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান প্রতিমন্ত্রী।

জার্মানির উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জিআইজেডের তহবিল কর্মসূচি বিভাগের প্রধান সান্দ্রা রেযারের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মাঝে চিলির জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের স্ট্রেট সেক্রেটারি ফ্রান্সিস্কো জাভিয়ার, ইউক্রেনের আঞ্চলিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ইভান লিউকেরিয়া, জার্মানির ফেডারেল অর্থনৈতিক বিষয়ক ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উপ-মহাপরিচালক আলরিচ বেন্টারবোচ ও ভারতের বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ভিবেক কুমার দেবাঙ্গান ওয়েবিনারে সংযুক্ত ছিলেন।

আরএমএম/জেডএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।