কর্ণফুলি ইন্স্যুরেন্সকে ৯ লাখ টাকা জরিমানা


প্রকাশিত: ০৫:৫১ পিএম, ১৬ নভেম্বর ২০১৫

বিমা আইন লঙ্ঘন করে দেদারসে বাকিতে ব্যবসা করছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কর্ণফুলি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। এ জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে সম্প্রতি ৯ লাখ টাকা জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।

১৯৮৬ সাল থেকে বিমা ব্যবসা করে আসা কোম্পানিটির বাকি ব্যবসার পাশাপাশি গ্রাহকদের বিমা দাবি দেয়ার ক্ষেত্রে বরাবরই কোম্পানিটির রয়েছে গড়িমসি। ফলে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বিমা দাবি পরিশোধ করেছে মাত্র ৮ দশমিক ২ শতাংশ। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে গ্রাহকদের বিমা দাবি না পাওয়ার অনেক অভিযোগ বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা পড়েছে।

জানা গেছে, জরিমানার আগে গত ১১ নভেম্বর কর্ণফুলির সঙ্গে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে সভাপতিত্ব করেন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এমশেফাক আহমেদ একচ্যুয়ারি, ৪ সদস্য এবং কর্তৃপক্ষের পরিদর্শন দলের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কোম্পানির পক্ষ থেকে কর্ণফুলির এমডি মো. হাফিজউল্লাহ্, লোকাল শাখা ব্যবস্থাপক এএইচএম আনোয়ার নেওয়াজ খান, মীর শাহজাহান করিব (জিএম) এবং মো. শফিকুল ইসলাম (অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার) উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বলা হয়, আইডিআরএর পরিদর্শন দল গত ১৪ সেপ্টেম্বর কর্ণফুলির লোকাল শাখা পরিদর্শন করে। সে সময় দৈবচয়নের ভিত্তিতে তাদের মানি রিসিপ্ট, ব্যাংক ডিপোজিট স্লিপ, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, কাভারনোট ও পলিসি পরীক্ষা করে বাকি ব্যবসার প্রমাণ পায়। যা বিমা আইন, ২০১০ এর ১৮ (৩) ধারা এবং ঞযব ওহংঁৎধহপব জঁষবং, ১৯৫৮ এর ৪৪ হতে ৫১ ধারা লঙ্ঘন।

এতে বলা হয়, কোম্পানির লোকাল শাখায় ২০১৪ সালের জুন, নভেম্বর ও ডিসেম্বর প্রত্যেক মাসের বাকি ব্যবসার জন্য বিমা আইন ২০১০ এর ১৩০ ধারা অনুযায়ী কোম্পানিকে দুই লাখ টাকা করে মোট ছয় লাখ টাকা, বিমা আইন ২০১০ এর ১৩৪ ধারা অনুযায়ী কোম্পানির  এমডি মো. হাফিজউল্লাহকে ব্যক্তিগতভাবে ৫০ হাজার টাকা করে মোট  দেড় লাখ টাকা এবং লোকাল শাখা ব্যবস্থাপক এএইচএম আনোয়ার নেওয়াজ খানকে ব্যক্তিগতভাবে ৫০ হাজার টাকা করে মোট দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এবিষয়ে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.হাফিজউল্লাহ বলেন, বাকিতে ব্যবসার জন্য আইডিআরএ তার ক্ষমতা বলে জরিমানা করেছে এ কথা শুনেছি। তবে আমাদের হাতে এখনো নির্দেশনা বা চিঠি দেয়া হয়নি।

বিমা দাবিতেও গড়িমসি : চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত মোট দাবির মাত্র আট শতাংশ দাবি পূরণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। গ্রাহকদের অভিযোগ, সব কাগজ ঠিকঠাক থাকার পরও কোম্পানি কর্তৃপক্ষ দাবি পরিশোধ করছেন না। আইডিআরএ প্রতিবেদন অনুসারে আগের বকেয়াসহ জানুয়ারিতে গ্রাহকরা ১৩৮টি বিমা দাবি উত্থাপন করে।

এর মধ্যে দাবি পরিশোধ করে মাত্র ১০টি। অপরিশোধিত রেখেছে ১২৮টি। ফেব্রুয়ারিতে পরিশোধযোগ্য দাবি দাঁড়ায় ১৪১টি। এর মধ্যে পরিশোধ করে মাত্র ১২টি। মার্চে পরিশোধযোগ্য দাবি দাঁড়ায় ১৩৭টি। পরিশোধ করে ১১টি।

গ্রাহকদের দাবি পরিশোধের দেরি প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির এমডি বলেন, গ্রাহদের বিমা দাবির আবেদনের পর সার্ভেয়ারে রিপোর্ট এবং পুলিশের ভেরিফিক্যাশন রিপোর্ট হাতে পেতে দেরি হওয়ার কারণে গ্রাহকদের দাবি পরিশোধ করতে দেরি হচ্ছে।

এসআই/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।