পাঁচ বছরে ‍মুদ্রানীতির পাচঁটি গবেষণাও হয়নি : গভর্নর


প্রকাশিত: ০১:৫৪ পিএম, ০৮ নভেম্বর ২০১৪

বাংলাদেশে গবেষণা সংস্থাগুলো মুদ্রানীতি নিয়ে কোনও গবেষণা করে না। এমনকি পাঁচ বছরে ‍মুদ্রানীতি নিয়ে পাচঁটি গবেষণাও হয়নি বলেও জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান। শনিবার রাজধানীর বনানীতে ‘পলিসি মেকিং অ্যান্ড ইনস্টিটিউশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় গবেষণা সংস্থাগুলোর সমলোচনা করে ড. আতিউর রহমান এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, আমরা প্রতিবছর মুদ্রানীতি প্রণয়ন করি। কিন্তু আমাদের দেশে গবেষণা সংস্থাগুলো মুদ্রানীতি নিয়ে কোনও গবেষণা করে না। পাঁচ বছরে ‍মুদ্রানীতি নিয়ে পাচঁটি গবেষণাও পাইনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড.আতিউর রহমান বলেন, আপনারা অনেকে অনেক কথা বলছেন। বর্তমান পদে থেকে আমার পক্ষে আপনাদের মতো বলা সম্ভব নয়। সেগুলো হয়তো ১৮ মাস পরে বলা যাবে। গভর্নর বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও আমাদের প্রবৃদ্ধি ভাল ছিল। এর কারণ হলো আমরা যথাযথ নীতিগ্রহণ করতে পেরেছি। বর্তমানে প্রতি এক হাজার বর্গকিলোমিটারে ব্যাংকগুলোর ৫৯ শাখা রয়েছে। মোবাইল ফিন্যান্সসিয়াল ইনক্লুশনে আমরা উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছি। বর্তমানে দেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৩৩৩ কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে। বছর শেষে এই পরিমাণ প্রায় হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়।

অনুষ্ঠানে অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য প্রকাশ করতে মন্ত্রীর স্বাক্ষর লাগে। এটি কেমন কথা? অনেক তথ্য উপাত্ত নিয়ে পরিসংখ্যান করতে হয়। সেটি বোঝা মন্ত্রীর পক্ষে এতটা সহজ নয়। তারপরও তিনি যদি বুঝতে চান কমপক্ষে তিন দিন লাগবে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ-উপদেষ্টা ড. মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সুশাসন প্রয়োজন। এ জন্য গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। অন্যথায় কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। রাজনীতি আর অর্থনীতি উভয়ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতে হবে।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) ও বাংলাদেশ ইকোনোমিস্ট ফোরাম এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে পরিকল্পনা কমিশন ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।