৬ মাসে ২ কোটি ২৪ লাখ ডলারের চুল রফতানি
আবর্জনা হিসেবে ফেলে দেয়া চুল খুলেছে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার। বিদেশের বাজারে চাহিদা বাড়ছে বাংলাদেশি চুলের।
গত মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি ২০২০-২০২১ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ২ কোটি ২৪ লাখ ডলারের চুল ও পরচুলা রফতানি করেছে বাংলাদেশ। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেশি। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের প্রথমার্ধে ১ কোটি ৪৬ লাখ ডলারের চুল ও পরচুলা রফতানি হয়েছিল বিভিন্ন দেশে।
জানা গেছে, ফেলে দেয়া এই চুল থেকে পরচুলার তৈরির পাশাপাশি পলিশ ও রূপ চর্চার বিভিন্ন ধরনের ক্রিম তৈরি করা হয়। ভারত, চীন ছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশ বাংলাদেশি চুলের ক্রেতা রয়েছে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছে, প্রতিনিয়তই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে চুলের ব্যবসা। গ্রাম ও শহরের মেয়েরা আঁচড়ানোর সময় ঝরে পড়া চুল জমিয়ে রাখছেন। তাদের কাছ থেকে এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও হকাররা এই চুল কিনছেন।
চুল কেনাবেচার জন্য নওগাঁ, সাতক্ষীরা, যশোর, খুলনা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, নড়াইল, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সৈয়দপুর, রংপুর, ময়মনসিংহ, কক্সবাজার, সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে এখন হাট বসছে। আর এই চুল প্রসেসিংয়ের জন্য গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি কারখানাও।
ইপিবি বলছে, বিগত পাঁচ অর্থবছরে চুল রফতানি করে বাংলাদেশ আয় করেছে প্রায় ১০ কোটি ডলার। প্রতি অর্থবছর চুলের রফতানি আয় প্রায় দ্বিগুণ হারে বাড়ছে।
এসএম/এসজে/এমকেএইচ