বাজারে আসছে ট্রায়াম্ফের ৯টি নতুন মডেলের বাইক
ভারতের প্রিমিয়াম মোটরসাইকেলের বাজারে নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে উদ্যোগ নিয়েছে ব্রিটিশ বাইক প্রস্তুতকারী সংস্থা ট্রায়াম্ফ। আগামী ছয় মাসের মধ্যে দেশটিতে নতুন ৯টি মডেলের বাইক আনতে চলেছে তারা। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি বিশেষ সংস্করণের বাইকও থাকবে। ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
দেশটির মোটরসাইকেল বাজারে নিজেদের দখল আরও বেশি পরিমাণ বাড়াতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। চলতি অর্থবছরে তাদের বিক্রি ২০-২৫ শতাংশ বাড়বে বলে আশাবাদী তারা। যদিও করোনাভাইরাসের কারণে ২০২০ সালে তাদের বেচাকেনা বাড়ার সম্ভাবনা কম। উল্লেখ্য, জুলাই মাস থেকে পরের বছরের জুন মাস পর্যন্ত অর্থবছর হিসাব করে ট্রায়াম্ফ।
বর্তমানে ট্রায়াম্ফের সংগ্রহে মডার্ন ক্লাসিক থেকে শুরু করে অ্যাডভেঞ্চার মোটরসাইকেলের মতো ১৬টি মডেলের বাইক রয়েছে। এর মধ্যে ঐতিহ্যবাহী রকেট ৩আর ও রকেট ৩জিটি’র নাম সর্বজনবিদিত।
বাইক প্রস্তুতকারী সংস্থাটির ভারতের বিজনেস হেড শোয়েব ফারুক বলেন, ‘জানুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে ভারতের বাজারে ৯টি নতুন মডেলের বাইক আনা হবে। এর মধ্যে বর্তমানে রয়েছে এমন কয়েকটি মডেলের বিশেষ সংস্করণ আসবে। এই প্রথম আমাদের সংগ্রহে বিশেষ সংস্করণ যোগ করা হচ্ছে। এছাড়া স্বাভাবিক প্রক্রিয়া মেনে বেশ কিছু মডেলের বাইকের আধুনিক ও উন্নত সংস্করণ আনা হবে। এর মধ্যে ট্রাইডেন্ট ৬৬০ ও নিউ টাইগার ৮৫০ স্পোর্ট মডেলের বাইক রয়েছে, যা সংস্থার সার্বিক বিক্রি বাড়ানোর পক্ষে সহায়ক হবে।’
দেশটির বাইকের বাজারে সম্পূর্ণ নতুনভাবে জায়গা করে নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ট্রায়াম্ফের বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘এই সবকিছু বাস্তবায়ন করতে হলে জানুয়ারি থেকে পরবর্তী ছয়মাস আমাদের ব্যাপক পরিশ্রম করতে হবে। এর মধ্যে বেশ কিছু নতুন মডেলসহ ক্রেতাদের সামনে বিভিন্ন ধরনের বাইক নিয়ে আসা হবে।’
প্রসঙ্গত, বিগত এক বছরের মধ্যে দেশটির অন্য খাতের মতো বাইকের বাজারও প্রায় ৩৫ থেকে ৩৮ শতাংশ সঙ্কুচিত হয়েছে বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। তবে, সার্বিকভাবে দেশের বাইক বেচাকেনার হার নিম্নমুখী হলেও ব্র্যান্ড হিসেবে ট্রায়াম্ফ ভালো করেছে। গত ৬-৭ মাসে এমনকি করোনার মধ্যেও তারা গত বছরের মতো বেচাকেনা করেছে।
চলতি বছরে জুলাই থেকে ভারতের বাজারে সংস্থাটির বেচাকেনা বেড়েছে ১২ শতাংশের বেশি। বছরে দেশে ৫০০ সিসি বা তার বেশি ইঞ্জিনের ক্ষমতার প্রায় ২০ হাজার বাইক বিক্রি করেছে তারা। ২০২০ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত অর্থবছরে আরও ২০-২৫ শতাংশ বৃদ্ধির প্রত্যাশা সংস্থাটির।
এআরএ/এমকেএইচ