এক্সপোজারের মেয়াদ ২০২০ সাল পর্যন্ত চাইবে বিএসইসি
পুঁজিবাজারের চলমান ধ্বস ঠেকাতে উদ্যোগ নিচ্ছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন(বিএসইসি)। উদ্যোগের অংশ হিসেবে সাবসিডিয়ারি মার্চেন্ট ব্যাংকে একক গ্রাহক ঋণসীমা (সিঙ্গেল বরোয়ার এক্সপোজার লিমিট) সমন্বয়ের মেয়াদ বাড়াতে খুব শিঘ্রীই বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) কাছে লিখিত আবেদন করবে বিএসইসি।বিনিয়োগকারি ও ব্রোকারেজ হাউজের দাবির প্রেক্ষিতে বিএসইসি এমন দাবি করবে বলে সুত্র জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, বিনিয়োগকারিরা মেয়াদ ২০১৬ সাল থেকে বাড়িয়ে ২০২০ সাল করার দাবি জানিয়ে আসছে। বিএসইসি অনেকটা এ দাবির পক্ষেই আবেদন করবে।
সাধারণ বিনিয়োগকারী ও ব্রোকারেজ হাউসগুলোর আবেদনের পেক্ষিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে ঋণ সমন্বয়ের মেয়াদ বাড়াতে চিঠি দেবে বলে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল রাখতে বিনিয়োগকারী ও ব্রোকারেজ হাউসসহ বাজার সংশ্লিষ্টদের ঋণ সমন্বয়ের মেয়াদ বাড়ানোর একটি অন্যতম দাবি রয়েছে। আমরা এ দাবি শিগগিরই লিখিত আকারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট পাঠাবো।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, বিএসইসি মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করলেও আইন সংশোধন ছাড়া এটি করার এখতিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেই। তবে দাবি আসলে বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবে।
জানা গেছে, সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানী আইন অনুযায়ী ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বেধে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এদিকে অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বাড়তি বিনিয়োগ সমন্বয়ের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব অর্থমন্ত্রীর কাছে জমা দিয়েছে বিএসইসি। ব্যাংকের বিনিয়োগ সমন্বয়ের বাড়তি চাপে বাজারে এমন দরপতন হচ্ছে। ব্যাংকগুলোকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হলে বাজার স্বাভাবিক হয়ে উঠবে। এমন প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী মেয়াদ বাড়ানোর এ প্রস্তাব বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানোর পরামর্শ দেন।
প্রসঙ্গত, ৫ নভেম্বর ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানিভিত্তিক ব্রোকারেজ হাউসের প্রতিনিধিরা বিএসইসির কাছে পুঁজিবাজারে বাড়তি বিনিয়োগ সমন্বয়ের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২০ পর্যন্ত করার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ ক্যাপিটালের ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে হলে ব্যাংকগুলোকে ৬-৭ হাজার কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করতে হবে। যা বর্তমান মন্দা বাজারে সম্ভব নয়। এ অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ এবং পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। তাই এ মন্দাবস্থা থেকে রেহাই পেতে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের এক্সপোজার লিমিটের মেয়াদ ২০২০ সাল পর্যন্ত বাড়াতে হবে।
বিএসইসির সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ঋণাত্মক ইক্যুইটির বিনিয়োগ হিসাবে লেনদেনের সুযোগ ২০২০ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে লোকসানের বিপরীতে সঞ্চিতি রাখার বাধ্যবাধকতা শিথিলের মেয়াদও ২০২০ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করেন তারা।
এসআই/এএইচ/এমএস