শীতের সবজিতে নিম্নমুখী মূল্যস্ফীতি
শীতের সবজি প্রভাব ফেলেছে মূল্যস্ফীতিতে। আর তাই অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১৯ শতাংশে। যা সেপ্টেম্বরে ছিলো ৬ দশমিক ২৪ শতাংশ।
তবে শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ বেড়েছে বাজারে। শিম, বাধাকটি, ফুলকপি, মুলা, গাজর, শালগমসহ নানা প্রকারের শাকসবজির কমতি নেই। তবে দাম আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেশিই বলে ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন।
মঙ্গলবার শেরে বাংলা নগর পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনে একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য উপস্থাপন করেন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া তথ্য তুলে ধরে কামাল বলেন, শীত বাড়লে মূল্যস্ফীতি আরো কমবে।
বিবিএস-এর দেয়া তথ্যে দেখা গেছে, অক্টোবরে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার হয়েছে ৬ দশমিক ১৯ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে যা ছিল ৬ দশমিক ২৪ শতাংশ। অন্যদিকে, একই সময়ে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে যা ছিল ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ।
খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে যা ছিল ৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, শীতকালীন শাকসবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে। যার প্রভাবে মূল্যস্ফীতি কমেছে। আগামী মাসে শীতকালীন সবজি পূর্ণাঙ্গ মাত্রায় আসবে এবং মূল্যস্ফীতির হার আরও কমবে। বিশ্ববাজারে ভোগ্যপণ্যের দাম ক্রমাগতভাবে কমছে যার প্রভাব আমাদের দেশেও পড়ছে।’
বিবিএস তার পরিসংখ্যানে বলছে, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাক জাতীয় পণ্যের দাম কমায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। পাশাপাশি কমেছে বাড়ি ভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থলী, চিকিৎসা সেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দামও।
তবে বছর শেষে সার্বিক মূল্যস্ফীতিও সরকারের নির্ধারিত লক্ষ্য মাত্রার মধ্যে থাকবে বলে কামাল মনে করেন।
এসএ/একে/পিআর