স্বর্ণ-রূপার সঙ্গে নিম্নমুখী তেল
কিছুটা দাম বাড়ার পর স্বর্ণ ও রূপার দাম আবার কিছুটা কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে তেলের দাম। গত সপ্তাহে স্বর্ণের দাম ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং রূপার দাম ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ কমেছে। অপরদিকে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ কমেছে। আর সপ্তাহের ব্যবধানে পরিশোধিত তেলের দাম কিছুটা বাড়লেও শেষ কার্যদিবসে দশমিক ২০ শতাংশ কমেছে।
এর আগে ইউরোপে দ্বিতীয় ধাপে মহামারি করোনাভইরাসের প্রকোপ বাড়ায় বিশ্ববাজারে স্বর্ণ ও রূপার দাম বেড়ে যায়। গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ে ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আর রূপার দাম বাড়ে ৫ শতাংশ।
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ার কারণে গত সপ্তাহে দেশের বাজারেও দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। নতুন দাম অনুযায়ী, ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৬ হাজার ৩৪১ টাকা। ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৭৩ হাজার ১৯২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬৪ হাজার ৪৪৪ টাকায় ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৫৪ হাজার ১২১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্বর্ণের দাম বাড়লেও রূপার আগের দামই রাখা হয়েছে। ক্যাটাগরি অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রূপার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ৫১৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের রূপার দাম এক হাজার ৪৩৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক হাজার ২২৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রূপার দাম ৯৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম বাড়ার পরই বিশ্ববাজারে দাম কমতে শুরু করে। প্রতি আউন্স ১৯২৮ দশমিক ৮৫ ডলার নিয়ে সপ্তাহ শুরু করা স্বর্ণের দাম কমে ১৮৯৮ দশমিক ৯৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম কমেছে ২৯ দশমিক ৮৮ ডলার বা ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এর মধ্যে শেষ কার্যদিবস শুক্রবার কমেছে ৮ দশমকি ৮৫ ডলার বা দশমিক ৪৬ শতাংশ।
অপরদিকে প্রতি আউন্স ২৪ দশমিক ৯৮ ডলার নিয়ে সপ্তাহ শুরু করা রূপার দাম সপ্তাহ শেষে দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ১৭ ডলারে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স রূপার দাম বেড়েছে দশমিক ৮১ ডলার বা ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এর মধ্যে শেষ কার্যদিবস শুক্রবার কমেছে দশমিক ১৪ ডলার বা দশমিক ৫৮ শতাংশ।
এদিকে স্বর্ণ ও রূপার দরপতনের সঙ্গে তেলের দামেও নেতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম শেষ কার্যদিবসে দশমিক শূন্য ৮ ডলার কমে ৪০ দশমিক ৮৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এই দরপতনের পরও সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিশোধিত তেলের দাম দশমিক ৬৯ শতাংশ বেড়েছে।
অপরিশোধিত তেলের পাশাপাশি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দাম কমেছে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের। শুক্রবার প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম দশমিক ৩৫ ডলার কমে ৪২ দশমিক ৮১ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ কমেছে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম।
এমএএস/বিএ/জেআইএম