‘নগদ’ থেকে ১.১২ কোটি টাকা লাভ করল ডাক বিভাগ

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:২২ পিএম, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

করোনার কারণে সবকিছুতে যখন মন্দাভাব ঠিক সেই সময়ই ভাগাভাগির অংশ হিসেবে ডাক বিভাগকে এক কোটি ১২ লাখ ১৫ হাজার ৫৭৬ টাকা দিয়েছে সরকারি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’। সদ্য শেষ হওয়া ২০১৯-২০ অর্থবছরের সেবার ওপর থেকে আয়ের অংশ হিসেবে ‘নগদ’ ডাক বিভাগকে এই অর্থ প্রদান করে।

রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) ডাক বিভাগের সদ্য নির্মিত ডাক ভবনে এক অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের হাতে এই চেক তুলে দেন ‘নগদ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুক। নগদ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব বলা হয়েছে।

সেখানে বলা হয়েছে, ডাক বিভাগের অন্য কোনো সেবা থেকে কখনও নেট আয় না পেলেও ‘নগদ’র যাত্রার মাত্র দেড় বছরের মাথায় তারা পেয়ে গেল বাড়তি এই আয়। কোনো ধরনের বিনিয়োগ না করেই আয়ের অংশ পাওয়া ডাক বিভাগের জন্য এক অনন্য নজির। ‘নগদ’র মাধ্যমে ডাক বিভাগের এমন আয় সামনের দিনে ডিজিটাল আর্থিক সেবার দুয়ারকে আরও সম্প্রসারিত করবে।

এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. নূর-উর-রহমান এবং ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক সুধাংশু শেখর ভদ্রসহ ‘নগদ’র শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রথমত সারাদেশের ওপর কোভিডের মতো মহামারির আক্রমণ, দ্বিতীয়ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার দিক থেকেও আছে একচেটির দাপট। এসব কিছুর পরও নিজেদের সেবার মান বাড়িয়ে কোভিড-এর মধ্যেও আয়ের চাকা সচল রাখে ‘নগদ’। আর তা থেকেই আসে এই আয়।

এই অঞ্চলে ডাক সেবার ২০০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার কোনো সেবা থেকে এমন আয় জমা পড়ল ডাক বিভাগের অ্যাকাউন্টসে। শেষ হওয়া ২০১৯-২০ অর্থ বছরের ডাক বিভাগের আয়-ব্যয়ের হিসেব এখনও পাওয়া যায়নি। তবে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ডাক বিভাগের আয় আর ব্যয়ের মাঝে ঘাটতি ছিল ৪৩৩ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ডাক বিভাগের লোকসান হয় ৪৩৬ কোটি টাকা।

স্বাধীনতার পর প্রথম বছরও ডাক বিভাগের শুরু হয়েছিল লোকসান দিয়ে। সেবার এক কোটি ৬০ লাখ টাকার লোকসান দিয়ে বাংলাদেশের ডাক বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। তারপর থেকে সময় যত গড়িয়েছে, ঘাটতির পরিমাণ ততই বেড়েছে। তবে ‘নগদ’-এর মতো ডিজিটাল আর্থিক সেবা চালু হওয়ায় গোটা ডাক বিভাগও যেন নতুন করে জেগে ওঠার সুযোগ পেয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

‘নগদ’-এর এই সাফল্য যাত্রায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ডাক বিভাগ এমন অর্জন করতে পারবে, এটা অকল্পনীয় ছিল। আমার বিশ্বাস ‘নগদ’-এর এই পথ ধরেই সামনের দিনে ডাক বিভাগ ঘুরে দাঁড়াবে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের আদলে সরকারি সহায়তার সঙ্গে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের ইনোভেশনে যুক্ত হয়ে প্রায় অসম্ভব কাজটি সম্ভব হয়েছে।’

এমএফএস সার্ভিস থেকে ‘নগদ’ এখন একটি ডিজিটাল ব্যাংকে পরিণত হওয়ার স্বপ্নও দেখছে। সেটি হলে দেশের সব মানুষকে সহজেই ডিজিটাল আর্থিক সেবার মধ্যে নিয়ে আসা সম্ভব হবে।

‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুক বলেন, ‘শুরু থেকেই আমরা মানুষের চাহিদাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আমাদের সেবা কাঠামো সাজিয়েছি। সে কারণে সবচেয়ে কম খরচে সর্বাধুনিক সেবা নিয়ে আসতে পেরেছে ‘নগদ’। আর তার ফলস্বরূপ সেবা শুরুর মাত্র এক বছরের মধ্যে ‘নগদ’-কে বিশ্বের দ্রুতবর্ধনশীল ডিজিটাল আর্থিক সেবা হিসেবে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় পোস্টাল ইউনিয়ন স্বীকৃতি দিয়েছে। সেই দিন বেশি দূরে নয়, যখন ‘নগদ’-এর মাধ্যমেই গোটা বিশ্বে বাংলাদেশের ডাক বিভাগের সুনাম ছড়িয়ে পড়বে। আর ‘নগদ’-ই হবে দেশের জাতীয় ডিজিটাল আর্থিক সেবা সংস্থা।’

এফআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।