ব্লক লেনদেনের ৮১ শতাংশই বেক্সিমকো ফার্মার দখলে
গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৬৬টি প্রতিষ্ঠানের ৪৪৪ কোটি ২৬ লাখ ৩৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শুধু বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৫৯ কোটি ৮৪ লাখ ৭ হাজার টাকা। অর্থাৎ ব্লকের মোট লেনদেনের ৮১ শতাংশই বেক্সিমকো ফার্মার ছিল।
বেক্সিমকো ফার্মার পর গত সপ্তাহে ডিএসইর ব্লকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের। কোম্পানিটির ১৩ কোটি ৭৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
নয় কোটি ২৩ লাখ ৯০ হাজার টাকার লেনদেনের মাধ্যমে পরের স্থানটি দখল করেছে আরেক ওষুধ কোম্পানি রেনেটা।
এছাড়া মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের আট কোটি ৮৭ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, সাউথইস্ট ব্যাংকের পাঁচ কোটি ৫৪ লাখ ৮৪ হাজার টাকা, বারাকা পাওয়ারের চার কোটি ৮৯ লাখ ২৮ হাজার টাকা, সন্ধানী ইন্স্যুরেন্সের চার কোটি ৮৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ওরিয়ন ফার্মার চার কোটি ৮৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা এবং সিঙ্গার বাংলাদেশের চার কোটি ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।
কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হওয়া বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে- ব্র্যাক ব্যাংকের তিন কোটি ৫৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকা, ইউসিবির তিন কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের দুই কোটি ৬০ লাখ ৪৯ হাজার টাকা, গ্রামীণফোনের এক কোটি ৭৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা, এমএল ডাইংয়ের এক কোটি ৭২ লাখ ১৬ হাজার টাকা, বিকন ফার্মার এক কোটি ৬০ লাখ টাকা, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের এক কোটি ৪৫ লাখ ৩৭ হাজার টাকা, এসিআইয়ের এক কোটি নয় লাখ ৫৭ হাজার টাকা, সি পার্লের এক কোটি দুই লাখ ৬৫ হাজার টাকা এবং এপিএসসিএল বন্ডের এক কোটি দুই লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।
বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর এককভাবে এক কোটি টাকার কম লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে- প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৮৬ লাখ ৪৮ হাজার টাকা, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৭৬ লাখ ১৯ হাজার টাকা, ইউনাইটেড পাওয়ারের ৬৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকা, পূবালী ব্যাংকের ৬৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা, জেনেক্সের ৬০ লাখ ৫০ হাজার টাকা, জিকিউ বলপেনের ৬০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, আইসিবির ৫২ লাখ টাকা এবং সিএপিএম আইবিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৫১ লাখ ২০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।
এককভাবে ৫০ লাখ টাকার কম লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে- বিডিকমের ৪৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা, বেক্সিমকোর ৪৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকা, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ডেসকোর ৩৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ৩৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা, সিলভা ফার্মার ২৮ লাখ ৭৯ হাজার টাকা, আমান কটনের ২৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ফরচুনের ২৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা, এসকে ট্রিমসের ২৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকা, একমির ২৪ লাখ টাকা, ওরিয়ন ইনফিউশনের ২০ লাখ ৬১ হাজার টাকা এবং কে অ্যান্ড কিউয়ের ২০ লাখ ছয় হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।
এককভাবে ২০ লাখ টাকার কম লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে- রেকিট বেনকিজারের ১৯ লাখ টাকা, সায়হাম কটনের ১৭ লাখ ১০ হাজার টাকা, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১৬ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, বিডি থাইয়ের ১৬ লাখ ২০ হাজার টাকা, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের ১৫ লাখ ৮ হাজার টাকা, আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের ১৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা, ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের ১৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, ফার কেমিক্যালের ১৩ লাখ ৮২ হাজার টাকা, সমতা লেদারের ১২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, ফাইন ফুডসের ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, সাইফ পাওয়ারের ১০ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, কুইনসাউথ টেক্সটাইলের ১০ লাখ ১৭ হাজার টাকা এবং স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের ১০ লাখ ১৭ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।
বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর এককভাবে ১০ লাখ টাকার কম লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে- সামিট পাওয়ারের নয় লাখ ৩৭ হাজার টাকা, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের নয় লাখ ১৫ হাজার টাকা, শাহজিবাজার পাওয়ারের আট লাখ ৬৫ হাজার টাকা, জিপিএইচ ইস্পাতের আট লাখ ৩০ হাজার টাকা, ন্যাশনাল পলিমারের আট লাখ তিন হাজার টাকা, আইসিবি তৃতীয় এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সাত লাখ ৫০ হাজার টাকা, এপোলো ইস্পাতের ছয় লাখ ৭০ হাজার টাকা, অ্যাডভেন্ট ফার্মার ছয় লাখ ৩২ হাজার টাকা, এসইএমএল আইবিবিএল এসএফের ছয় লাখ ১২ হাজার টাকা, বঙ্গজের ছয় লাখ আট হাজার টাকা, উত্তরা ব্যাংকের ছয় লাখ দুই হাজার টাকা, ইবনে সিনার পাঁচ লাখ ৩৬ হাজার টাকা এবং পিপলস ইন্স্যুরেন্সের পাঁচ লাখ চার হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।
এমএএস/এইচএ/এমকেএইচ