এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে পুনর্বাসন ব্যয় বাড়ল ৫০ ভাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৩৩ পিএম, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২০
ফাইল ছবি

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য বহুতল বিশিষ্ট ভবন ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণে ডেভলপমেন্ট ডিজাইন কনসালটেন্স লিমিটেডকে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তির মেয়াদ ২০২২ এর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২৪ মাস বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ জন্য ব্যয়ও বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।

বুধবার (০২ সেপ্টেম্বর) জুম অ্যাপের মাধ্যমে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য বহুতল বিশিষ্ট ভবন ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ডেভলপমেন্ট ডিজাইন কনসালটেন্স লিমিটেডের চুক্তির মেয়াদ ২০২২ এর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২৪ মাস বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে।

আগে এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১২ কোটি ৫০ লাখ ৯০ হাজার টাকা। তবে ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত খরচ হবে ৬ কোটি ২৩ লাখ ৭০ হাজার ৩৩৫ টাকা। এক্ষেত্রে আগের তুলনায় ব্যয় বাড়লো ৪৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ। অতিরিক্ত কাজ হিসেবে এখানে মূল প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্ত ১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ১২টি মসজিদ এবং অতিরিক্ত ৩টি বহুতল ভবনের ডিজাইন ও নির্মাণ কাজ তদারকি করতে হচ্ছে। মেয়াদ বৃদ্ধিতে মোট ব্যয় হবে ১৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।

বৈঠকে অনুমোদিত অন্যান্য প্রস্তাবগুলো হলো : পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য বিতরণ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে কনটেক কন্সট্রাকশন লিমিটেড থেকে ১ লাখ ১৯ হাজার ২১২টি এসপিসি পোল ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন। এতে মোট ব্যয় হবে ১৫৯ কোটি ৮৯ লাখ ৮১ হাজার ৬১৮ টাকা। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলে।

শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য বিতরণ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের জন্য ১৩ হাজার ৫৭০ কি. মি. কনডাকটর বা এএসডিআর বেয়ার মেঘনা স্টার কেবল অ্যান্ড ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপলায়েন্সের কাছ থেকে ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। এতে ব্যয় হবে ৭৯ কোটি ১৭ লাখ ৬৬ হাজার ১৪০ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে।

এছাড়া বৈঠকে মোংলা বন্দর চ্যানেলের আউটারবার প্রকল্প এলাকায় প্রায় ৪১ দশমিক ৯৫ লাখ ঘনমিটার অতিরিক্ত ড্রেজিং করার জন্য হংকং রিভার ইঞ্জিনিয়িারিং এবং চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন কর্পোরেশন সাথে সংশোধিত চুক্তি সম্পাদনের অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ব্যয় হবে ৮৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এ নিয়ে মোট খরচ ৬৮০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা দাঁড়িয়েছে।

এমইউএইচ/এসএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।