ব্রোকারদের পুরস্কৃত করবে বিএসইসি
বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি লাঘব এবং ব্রোকারেজ হাউজগুলো যাতে তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে সেজন্য ব্রোকারদের পুরস্কৃতের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইট ব্যবহার নিয়ে আয়োজিত এক ট্রেনিং প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানান বিএসইসি কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ।
বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেট (বিএএসএম), বিএসইসি ও ডিএসই’র ট্রেনিং একাডেমি যৌথভাবে ট্রেনিং প্রোগ্রামের আয়োজন করে।
শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা অনেক সময় ব্রোকারদের সঠিক দায়িত্ব পালন করতে দেখি না। যে কারণে বিনিয়োগকারীরা কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন। এই ক্ষতি লাঘব ও ভালো কিছু করার জন্য আমরা পুরুস্কৃত করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছি। এক্ষেত্রে বিএসইসির চেয়ারম্যান উৎসাহিত করেছেন। ব্রোকারদের পুরুস্কৃত করা নিয়ে কমিশনে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএসইসি, ডিএসই ও সিএসই’র নাম ও লোগো ব্যবহার করে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। অনেকেই শেয়ারের দর বাড়বে বলে নির্দিষ্ট সিকিউরিটিজে বিনিয়োগকারীদের প্রভাবিত করছেন। এ জাতীয় গুজব বা শেয়ারবাজারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এমন কোনো কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো হলে, তা আমরা গ্রহণ করব না। তাই সবাইকে এ বিষয়ে সাবধান হতে বলব। অন্যথায় কমিশন আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে প্রযুক্তি-কে এগিয়ে নিতে হবে। পুরো পৃথিবী এখন প্রযুক্তি খাতে এগিয়ে যাচ্ছে। কারণ কিছুদিন আগেও আমাদের প্রযুক্তি খাতে ঘাটতির কারণে শেয়ারবাজার বন্ধ রাখতে হয়েছিল। এই খাতে উন্নয়ন করতে পারলে, আজকের অনুষ্ঠানে যেসব প্রতিবন্ধকতার বিষয় উঠে এসেছে, সেগুলো কম উঠে আসতে পারত।
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে মার্কেটে ডেরিভেটিভসসহ নানা পণ্য আসবে। তখন লেনদেন অনেক বেড়ে যাবে। একইসাথে বিনিয়োগকারীদের সংখ্যাও বেড়ে যাবে। যা ম্যানেজ করার মতো সক্ষমতা এখন থেকেই তৈরি করতে হবে।
বিএসইসির এই কমিশনার বলেন, সফটওয়্যার উন্নত করার জন্য ডিএসই ওপেন প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে পারে। একটি নির্দিষ্ট সময়ের প্রতিযোগিতায় কেউ যদি ডিএসইর কার্যক্রম উন্নয়নে সফটওয়্যার তৈরি করে দিতে পারে, তাকে পুরুস্কৃত করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে নতুন সফটওয়্যার উন্নয়নে যারা কাজ করছে বা শেয়ারবাজার নিয়ে যারা ভাবে, তারা এগিয়ে আসতে পারে। তাদের আমরা উৎসাহিত করতে পারি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের একটি শুদ্ধাচার নিয়মাবলি আছে। সেই নিয়মাবলির মাধ্যমে আমরা শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উৎসাহিত করতে পারি। যাতে তারা দেশের জন্য, শেয়ারবাজারের জন্য এবং বিনিয়োগকারীদের উন্নয়নে কাজ করেন। তারা যেন সঠিকভাবে কাজ করেন এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য কাজ করেন। এদিকে নজর দেয়ার জন্য ডিএসইকে অনুরোধ করব।
অনুষ্ঠানে বক্তারা ডিএসই যথাসময়ে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য (পিএসআই) প্রকাশ করে না বলে অভিযোগ করেন। এছাড়া প্রবাসীদের জন্য ওয়েবসাইটে তথ্য সংযোজন, শিক্ষার্থীদের শেখার জন্য ম্যাটেরিয়াল তথ্য রাখা, তথ্য আপডেট করা, লেনদেনের তথ্য রিয়েল টাইম দেখানো না গেলেও তিন মিনিটের ব্যবধান কমিয়ে ৩০ সেকেন্ডে আনা, ওয়েবসাইট আরও বেশি ব্যবহারবান্ধব করাসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেন বক্তারা।
এমএএস/এমএআর/জেআইএম