ন্যায্যমূল্যে লবণযুক্ত চামড়া বিক্রি নিশ্চিতে অভিযান
কোরবানির পশুর লবণযুক্ত চামড়া কেনা শুরু করেছেন ট্যানারি মালিকরা। সরকার নির্ধারিত মূল্যে লবণযুক্ত চামড়া বিক্রি হচ্ছে কি না তা তদারকি করতে অভিযান পরিচালনা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
শনিবার (৮ আগস্ট) ঢাকার অদূরে সাভারের আমিনবাজার এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। অভিযান পরিচালনা করেন অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল।
অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অধিদফতরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহার নির্দেশনায় আমরা সাভারের আমিনবাজার এলাকায় বিভিন্ন আড়তে অভিযান করি। ট্যানারিগুলো কোরবানির পশুর লবণযুক্ত চামড়া কেনা শুরু করেছে। ট্যানারির মালিকরা সরকার নির্ধারিত মূল্যে চামড়া কিনছেন কি না তা তদারকি করা হয়। এখন সীমিত পরিসরে লবণযুক্ত চামড়া বিক্রি শুরু হয়েছে।
আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, এখন পর্যন্ত যেসব আড়তে গিয়েছি সব জায়গায় সঠিক দামে চামড়া বিক্রি করেছে বলে তারা জানিয়েছেন। আমাদের অভিযান চলবে কোনো অনিয়ম বা অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব।
এদিকে ট্যানারি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, ট্যানারিগুলো তাদের সুবিধামতো লবণযুক্ত চামড়া সংগ্রহ শুরু করেছে। সরকার নির্ধারিত দামেই আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লবণযুক্ত চামড়া কেনা হচ্ছে। চামড়ার মান অনুযায়ী দাম দেয়া হচ্ছে।
এবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত বছরের তুলনায় সর্বোচ্চ ২৯ ভাগ কমিয়ে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছে। ঢাকায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া ৩৫-৪০ টাকা, ঢাকার বাইরে ২৮-৩২ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। গত বছর ঢাকায় প্রতি বর্গফুট চামড়ার মূল্য ছিল ৪৫-৫০ টাকা এবং মফস্বলে ৩৫-৪০ টাকা। সারাদেশে খাসির চামড়ার মূল্য ধরা হয়েছে এবার ১৩-১৫ টাকা, গত বছর ছিল ১৮-২০ টাকা। বকরির চামড়া ১০-১২ টাকা, গত বছর ছিল ১৩-১৫ টাকা।
কিন্তু বাস্তবে ভিন্ন চিত্র। এবারও কোরবানির চামড়ার বাজারে বড় ধরনের ধস নেমেছে। খোদ রাজধানীতে প্রতি পিস গরুর চামড়া কেনা-বেচা হয়েছে মাত্র ২০০ থেকে ৪০০ টাকায়, যা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে অনেক কম।
এসআই/এফআর/এমকেএইচ