বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশ খারাপ হয়েছে : বিশ্বব্যাংক


প্রকাশিত: ১২:২২ পিএম, ২৮ অক্টোবর ২০১৫

বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ আগের চেয়ে দুই ধাপ খারাপ হয়েছে। সহজে ব্যবসা করা যায়, এমন ১৮৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৪। গত বছর এ অবস্থান ছিল ১৭২। বিশ্বব্যাংকের ‘ডুয়িং বিজনেস ২০১৬’ শীর্ষক বৈশ্বিক সূচকে বাংলাদেশের এ অবস্থান ওঠে এসেছে।

বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিস বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে। ২০১৫ সালের ১ জুন পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সারা বিশ্বে একযোগে বুধবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

ব্যবসার পরিবেশকে ১০টি বৃহত্তর নির্দেশিকা বা বিষয়ে বিন্যস্ত করে সেগুলোর অবস্থা বিশ্লেষণ করে তা সূচকে রূপান্তর করা হয়েছে।

১০টি মূল সূচক হলো-ব্যবসায় শুরু, অবকাঠামো নির্মাণের অনুমতি, বিদ্যুতের প্রাপ্যতা, সম্পত্তি নিবন্ধন, ঋণের প্রাপ্যতা, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা, কর পরিশোধ, বৈদেশিক বাণিজ্য, চুক্তির বাস্তবায়ন ও অসচ্ছলতা দূরীকরণ।

চলতি বছর বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ১০টি সূচকে বাংলাদেশের অর্জন ৪৩ দশমিক ১০ পয়েন্ট, গতবার ছিল ৪২ দশমিক ৭১।

১০টি সূচক বিবেচনায় নিলে এ বছর কোনোটিতেই উন্নতি করতে পারেনি বাংলাদেশ। পাঁচটি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান আগের চেয়ে খারাপ হয়েছে, আর বাকি পাঁচটিতে অবস্থান অপরিবর্তিত আছে। বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। এ সূচকে ২০১৫ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৮৯, এবারও তাই আছে। এছাড়া অবকাঠামো নির্মাণের অনুমতি, বৈদেশিক বাণিজ্য, চুক্তির বাস্তবায়ন, অসচ্ছলতা দূরীকরণ-এই চারটি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি।

যে পাঁচটি সূচকে সবচেয়ে বেশি অবণতি হয়েছে সেগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে ব্যবসায় শুরু। এ সূচকে গতবার বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১১১, এবার তা ছয় ধাপ কমে ১১৭ হয়েছে। ঋণের প্রাপ্যতা সূচকে ১২৮ থেকে পাঁচ ধাপ কমে ১৩৩ হয়েছে। সম্পত্তি নিবন্ধন, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা, কর পরিশোধ সূচকে গতবারের চেয়ে এক ধাপ করে পিছিয়েছে বাংলাদেশ।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। অষ্টম স্থানে রয়েছে আফগানিস্তান।

এসএ/একে

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।