প্রয়োজনে কাঁচা চামড়া রফতানি করা হবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৪৮ এএম, ২৬ জুলাই ২০২০
ফাইল ছবি

গেল বছর কোরবানির পশুর চামড়ার নজিরবিহীন দর বিপর্যয়ের পর কাঁচা চামড়া রফতানির সিদ্ধান্ত নিলেও শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি সরকার। তবে এবার যেন কিছুটা দাম পাওয়া যায়, সেজন্য কাঁচা চামড়া ও ওয়েট-ব্লু লেদার বা আংশিক প্রক্রিয়াজাত চামড়া রফতানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এখনই রফাতনির ঘোষণা দেয়া হয়নি। বরং চামড়া নিয়ে যদি গতবারের মতো সমস্যা হয় তাহলে রফতানির সুযোগ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

রোববার (২৬ জুলাই) জুম প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে চামড়া ব্যবসায়ীদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।

ভার্চুয়াল এ বৈঠকে বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন চামড়া খাত শিল্পের উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, রফতানিকারক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিরা।

মন্ত্রী বলেন, এবারও যদি চামড়ার দামে সমস্যা দেখা যায় তাহলে কাঁচা চামড়া ও ওয়েট-ব্লু লেদার বা আংশিক প্রক্রিয়াজাত চামড়া রফতানির অনুমোদন দেয়া হবে। এ জন্য ট্যানারি মালিকদের নিয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠনেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে। যাতে করে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারি।

তিনি বলেন, কাঁচা চামড়ার রফাতনির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকেও জানিয়ে রেখেছি। যদি নায্যমূল্য না পাওয়া যায় তাহলে রফতানি করবো।

তিনি আরও বলেন, কোরবানির চামড়া পরিবহনে যেন কোনো সমস্যা না হয় সে বিষয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। চামড়া যাতে পাচার না হয় সেজন্য সীমান্ত এলাকায় তদারকি বাড়াতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এছাড়া চামড়া সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় লবণ সরবরাহের জন্য ব্যবস্থা নিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।

এদিকে তিন দশক ধরে কাঁচা চামড়া রফতানির যে সুযোগ বন্ধ রয়েছে, সম্প্রতি তা খুলে দেয়ার সুপারিশ করে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন বলেছে, এবার ঈদুল আজহায় পশুর কাঁচা চামড়া নষ্ট হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে ন্যূনতম দাম নির্ধারণ করে রফতানির সুযোগ দেয়া যেতে পারে।

সূত্র বলছে, কমিশন গত বছরের অভিজ্ঞতায় এবার এই সুপারিশ করেছে। গত বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় দেশের চামড়ার একটি অংশ পচে যায়। এর বড় কারণ ছিল চামড়া কিনতে অনীহা। ট্যানারি মালিকরা গত বছর চামড়া কিনতে বাজারে পর্যাপ্ত টাকা ছাড়েনি। এ ক্ষেত্রে তারা ব্যাংক ঋণ না পাওয়াকে দায়ী করেছিলেন। চাহিদা কম থাকায় দামও তলানিতে নেমে যায়। অনেকে চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলেন। অনেক জায়গায় বাড়তি দামে লবণ কিনে সংরক্ষণ না করায় পচে যায়। এবারও পরিস্থিতির উন্নতির তেমন কোনো আশা নেই।

এমইউএইচ/এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।