দুই বছর পর মূল বাজারে কে অ্যান্ড কিউ ও আজিজ পাইপ
প্রায় দুই বছর পর স্পট মার্কেট থেকে মূল বাজারে ফিরছে কে অ্যান্ড কিউ এবং আজিজ পাইপ। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশে কোম্পানি দু’টিকে মূল বাজারে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জুলাই) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিএসইসির নির্দেশে আজ থেকে কোম্পানি দুটির শেয়ার মূল বাজারে লেনদেন হবে বলে জানিয়েছে ডিএসই।
অস্বাভাবিক দাম বাড়ার কারণে ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে কোম্পানি দুটিকে মূল মার্কেট থেকে স্পট মার্কেটে নিয়ে যায় বিএসইসি। এত দিন স্পট মার্কেটেই কোম্পানি দুটির শেয়ার লেনদেন হচ্ছিল।
কে অ্যান্ড কিউ-
বিনিয়োগকারীদের নামমাত্র লভ্যাংশ দেয়া ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানি কে অ্যান্ড কিউ এর শেয়ার দাম অস্বাভাবিক বেড়ে ২০১৮ সালের অগাস্টে প্রায় দুইশ’ টাকার কাছাকাছি চলে যায়।
এরপর কোম্পানিটিকে স্পট মার্কেটে নিলেও দাম বাড়ার প্রবণতা থামেনি। দফায় দফায় দাম বেড়ে সেপ্টেম্বরে শেয়ারের দাম দুইশ’ টাকা ছাড়িয়ে যায়। ২০১৯ সালের মে মাসে তা আরও বেড়ে আড়াইশ’ টাকা ছাড়িয়ে যায়। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ার দাম ২১০ টাকায় অবস্থান করছে।
শেয়ারের এমন দাম হলেও প্রতিষ্ঠানটির লভ্যাংশের ইতিহাস মোটেও ভালো না। কোম্পানিটি থেকে ২০১৯ সালে সাড়ে সাত শতাংশ এবং ২০১৮ সালে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
আজিজ পাইপ-
বিনিয়োগকারীদের নামমাত্র লভ্যাংশ দিয়ে ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির তালিকায় থাকা আজিজ পাইপের শেয়ার দাম অস্বাভাবিক বেড়ে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে প্রায় আড়াইশ’ টাকার কাছাকাছি চলে যায়।
এর প্রেক্ষিতে কোম্পানিটিকে স্পট মার্কেটে নিয়ে যায় বিএসইসি। স্পট মার্কেটে নেয়ার পর কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমতে থাকে। দফায় দফায় দাম কমে মূল মার্কেটে ফেরার আগে কোম্পানিটির শেয়ার দাম দাঁড়ায় ৯৭ টাকায়।
তবে মঙ্গলবার মূল বাজারে ফিরেই লেনদেনের শুরুতে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে। এতে আবারও একশ’ টাকার ওপরে উঠেছে আজিজ পাইপের শেয়ার দাম।
শেয়ারের এমন দাম হলেও প্রতিষ্ঠানটির লভ্যাংশের চিত্র খুব একটা ভালো না। কোম্পানিটি থেকে ২০১৯ সালে ৭ শতাংশ নগদ এবং ২০১৮ সালে ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
এমএএস/এমএফ/এমকেএইচ