লেনদেনে ওষুধের দাপট
সদ্য বিদায় নেয়া ২০১৯-২০ অর্থবছরজুড়ে লেনদেনে দাপট দেখিয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মোট লেনদেনের ১৯ শতাংশই দখলে নেয় এ খাতটি।
ডিএসইর লেনদেনের চিত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরের পুরো সময়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয় ৭৮ হাজার ২৪ কোটি ৩৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এর মধ্যে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪ হাজার ৯২৯ কোটি ৯১ লাখ ৬২ হাজার টাকার, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ।
অর্থবছরটিতে মোটা অঙ্কের লেনদেন হয়েছে প্রকৌশল খাতেও। এ খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার মোট লেনদেন হয়েছে ১০ হাজার ১৮২ কোটি ৮২ লাখ ১৯ হাজার টাকা, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। এর মাধ্যমে সর্বোচ্চ লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানটি দখল করেছে প্রকৌশল খাত।
মোট লেনদেনে ১০ দশমিক ৫৮ শতাংশ অবদান রেখে তৃতীয় স্থানটি দখল করেছে বীমা খাত। অর্থবছরের পুরো সময়ে তালিকাভুক্ত বীমা কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮ হাজার ২৫৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা।
মোট লেনদেনে ১০ শতাংশের ওপরে অবদান রাখা আর একটি খাত বস্ত্র। গত অর্থবছরজুড়ে এ খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮ হাজার ১১৪ কোটি ৯০ লাখ ৬৯ হাজার টাকা, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ।
এছাড়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ৮ দশমিক ২৭ শতাংশ, ব্যাংক ৮ দশমিক ২৩ শতাংশ, বিবিধ ৫ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ, খাদ্য খাত ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ, টেলিযোগাযোগ ২ দশমিক ৮৯ শতাংশ, তথ্যপ্রযুক্তি ২ দশমিক ৭৩ শতাংশ, সিরামিক ২ দশমিক ৬৭ শতাংশ, আর্থিক ২ দশমিক ৬৪ শতাংশ, চামড়া ২ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং সিমেন্ট খাত ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ ভোট লেনদেনে অবদান রেখেছে।
মোট লেনদেনে বাকি খাতগুলোর এককভাবে অবদান এক শতাংশের কম। এর মধ্যে ভ্রমণের দশমিক ৮৬ শতাংশ, পাটের দশমিক ৭২ শতাংশ, কাগজ ও মুদ্রণের দশমিক ৬৪ শতাংশ, সেবা ও আবাসনের দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং বন্ড খাতের দশমিক শূন্য ২ শতাংশ অবদান রয়েছে মোট লেনদেনে।
এমএএস/এমএসএইচ/এমএস