মায়ের জন্য ওয়ালটন এসি কিনে ফ্রি পেলেন আরেকটি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৫৪ এএম, ২৩ জুন ২০২০

একেই বলে ভাগ্য! গরমে মায়ের যেন কষ্ট না হয়, তাই ওয়ালটন ব্র্যান্ডের একটি এয়ার কন্ডিশনার বা এসি কেনেন চট্টগ্রাম নগরীর গোসাইল ডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা সাব্বির সারওয়ার চৌধুরী। আর তাতেই ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে ফ্রি পেয়ে গেলেন ওয়ালটনের আরেকটি নতুন এসি। ওয়ালটনের চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৭ এর আওতায় এ সুযোগ পেয়েছেন তিনি।

১৮ জুন বিকেলে সাব্বির সারওয়ারের কাছে পুরস্কার পাওয়া নতুন এসিটি আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেয়া হয়। সেসময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের ডেপুটি অ্যাসিসট্যান্ট ডিরেক্টর এবং এসি সেলস অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট বিভাগের জোনাল ম্যানেজার আবদুল্লাহ ইবনে মাসুদ, নগরীর আগ্রাবাদ চৌমুহনীতে ওয়ালটনের পরিবেশক প্রতিষ্ঠান কেএসটিএল এন্টারপ্রাইজের মালিক আবদুল কাদের খান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, অনলাইনে দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা দেয়ার লক্ষ্যে সারা দেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ওয়ালটন। এখন চলছে সিজন-৭। এর মাধ্যমে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে ফেললেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক।

ওয়ালটনের অপারেটিভ ডিরেক্টর খন্দকার শাহরিয়ার মুর্শিদ জানান, ক্যাম্পেইন সিজন-৭ এ ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে অসংখ্য সুবিধা দিচ্ছি আমরা। এর মধ্যে যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা ই-প্লাজা থেকে একটি এসি কিনলে ভাগ্যবানরা পেতে পারেন আরেকটি নতুন এসি সম্পূর্ণ ফ্রি। এছাড়া সবার জন্য রয়েছে ১০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত নিশ্চিত ক্যাশব্যাক। আছে ফ্রি ইন্সটলেশন সুবিধা। ৮ জুন থেকে শুরু হওয়া এসব সুযোগ থাকছে ৩০ জুন পর্যন্ত।

ওয়ালটনের প্রতিটি এসি আন্তর্জাতিক মানের টেস্টিং ল্যাব নাসদাত-ইউটিএস থেকে মান নিয়ন্ত্রণ সনদ পাওয়ার পরে বাজারজাত করা হয়। এরই ধারাবাবিকতায় এসিতে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। পাশাপাশি ইনভার্টার এসির কম্প্রেসরে ১০ বছরের গ্যারান্টি ও নন-ইনভার্টার কম্প্রেসরে ৫ বছরের গ্যারান্টি সুবিধা রয়েছে।

চট্টগ্রাম নগরীর ফকিরহাটে কেএসটিএল এন্টারপ্রাইজের ডিলার শোরুম ‘বেলা এন্টারপ্রাইজ’ থেকে ৪৫ হাজার ৯০০ টাকায় ওয়ালটনের একটি দেড় টন এসি কেনেন সাব্বির সারওয়ার চৌধুরী। সেসময় তার নাম, মোবাইল নম্বর ও পণ্যের বিস্তারিত তথ্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে ওয়ালটন সার্ভারে রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই তার ফোন নম্বরে একটি ম্যাসেজ যায়। দেখেন- একটি এসি কিনে তিনি আরেকটি এসি ফ্রি পেয়েছেন তিনি।

নগরীর গোসাইল ডাঙ্গা এলাকায় মা ও ছোট ভাইকে নিয়ে থাকেন সাব্বির সারওয়ার। চাকরি করেন চট্টগ্রাম ইপিজেডে একটি কোরিয়ান কোম্পানিতে। গরমে মায়ের যেন কষ্ট না হয়, তাই সাশ্রয়ী দামে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের একটি এসি কিনে নতুন আরেকটি এসি ফ্রি পান।

WALTON-2.jpg

এর প্রতিক্রিয়ায় সাব্বির বলেন, ‘এই পুরস্কার প্রাপ্তি আনন্দের। আমরা সব সময় ওয়ালটনের ওপর আস্থা রাখি। তারই পুরস্কার পেলাম। ক্রেতাদের এরকম ব্যতিক্রমী সুবিধা দেয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

ওয়ালটন এসিতে ফ্রি এসি অথবা নিশ্চিত নগদ ছাড় সুবিধা পাওয়ার পাশাপাশি চলছে ‘এক্সচেঞ্জ অফার’। এর আওতায় সারা দেশে ওয়ালটন শোরুমে যেকোনো ব্র্র্যান্ডের পুরনো এসি জমা দিয়ে ক্রেতারা ২৫ শতাংশ ছাড়ে ওয়ালটনের নতুন এসি কিনতে পারছেন।

এসি গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী সন্দ্বীপ বিশ্বাস জানান, দেশে নিজস্ব কারখানায় উচ্চমান বজায় রেখে এসি তৈরি করছে ওয়ালটন। এসির মান উন্নয়ন ও ডিজাইন নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা করছেন দক্ষ ও মেধাবী আরএন্ডডি (গবেষণা ও উন্নয়ন) টিম। তারা ওয়ালটন এসিতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার সংযুক্ত করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ওয়ালটন গ্রাহকদের হাতে তুলে দিচ্ছে ১ দশমিক ৫ টন ও ২ টনের আইওটি বেজড ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী স্মার্ট, ইনভার্টার ও আয়োনাইজার প্রযুক্তির এসি।

ওয়ালটন ইনভার্টার এসি ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। এই প্রযুক্তির এসিতে ঘণ্টায় বিদ্যুৎ খরচ হয় মাত্র ৩ টাকা ৭৪ পয়সা। এছাড়া এসির কম্প্রেসরে ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্বস্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব এইচএফসি গ্যাসমুক্ত আর-৩২ রেফ্রিজারেন্ট। রয়েছে টার্বোমুড ও আয়োনাইজার প্রযুক্তি, যা দ্রুত ঠান্ডা করার পাশাপাশি রুমের বাতাসকে ধুলা-ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্ত করে। ইভাপোরেটর এবং কন্ডেন্সারে মরিচারোধক গোল্ডেন ফিন কালার প্রযুক্তি ব্যবহার করায় মার্সেল এসি অনেক টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী।

১, ১.৫ এবং ২ টনের স্প্লিট এসির পাশাপাশি স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদরাসা, হাসপাতাল, হোটেলের মতো মাঝারি স্থাপনার জন্য ৪ ও ৫ টনের ক্যাসেট ও সিলিং টাইপ এসি ব্যাপকভাবে বাজারজাত করছে ওয়ালটন। আর বড় স্থাপনার জন্য ওয়ালটনের রয়েছে ভেরিয়্যাবল রেফ্রিজারেন্ট ফ্লো বা ভিআরএফ এবং চিলার এসি।

দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় সারা দেশে রয়েছে ৭৪টি সার্ভিস সেন্টার। যেখানে কাজ করছেন আড়াই হাজারেরও বেশি সার্ভিস এক্সপার্টস। ওয়ালটনের দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলী এবং টেকনিশিয়ানরা প্রতি ১০০ দিন পর পর এসির ক্রেতাদের ফ্রি সার্ভিসিং দিচ্ছেন।

এমএফ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।