বেতন-বোনাস না দেয়া পোশাক কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নেয়ার দাবি
সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে যেসব পোশাক কারখানা এপ্রিলের মজুরি ও ঈদ বোনাস দেয়নি তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন।
বৃহস্পতিবার (২৮ মে) এ তথ্য জানিয়েছে সংগঠনটির সভাপতি শ্রমিক নেত্রী নাজমা আক্তার। এর আগে যেসব কারখানা শ্রমিকের বেতন-বোনাস দেয়নি তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে বুধবার শ্রম সচিব বরাবর চিঠি দিয়েছে সংগঠনটি।
সংগঠনটির সভাপতি নাজমা আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুল ইসলামের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ত্রিপক্ষীয় কমিটির সভায় করোনাভাইরাসের কারণে গত এপ্রিলে কারখানা বন্ধের সময় ৬৫ শতাংশ মুজরি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া ঈদ বোনাসের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু আমাদের তথ্য রয়েছে, গাজীপুর, সাভার-আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহসহ ছয়টি শিল্প এলাকার তৈরি পোশাকসহ ৯২০টি কারখানা শ্রমিকদের গত এপ্রিল মাসের মজুরি দেয়নি।
অন্যদিকে ঈদ বোনাস পরিশোধ করেনি ১ হাজার ২৫৮টি কারখানা। এছাড়া তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত ১৬১টি কারখানা মজুরি ও ৩৫৮টি কারখানা শ্রমিকদের বোনাস দেয়নি এবং বিকেএমইএর সদস্যদের মধ্যে ৬০টি কারখানা মজুরি ও ৮৫টি বোনাস দেয়নি। এছাড়া বস্ত্রকলের মালিকদের সংগঠন বিটিএমএর সদস্যভুক্ত ৪০টি কারখানা মজুরি ও ৪৭টি বোনাস দেয়নি।
সংগঠনটি বলছে, শ্রম আইন অনুযায়ী চলতি মাসের মজুরি পরবর্তী মাসের প্রথম ৭ কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। একই সঙ্গে সরকারের নির্দেশনা অনুসরণ করে ২৪ মের মধ্যে মজুরি ও বোনাস পরিশোধ হয়নি। তাই এ বিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর (ডিআইএফই) মজুরি ও বোনাস দিতে ব্যর্থ শিল্পমালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে যদিও তারা এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
তাই অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়েও যারা শ্রমিকের বেতন-বোনাস দেয়নি তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে শ্রমিক সংগঠনটি।
এসআই/এমএসএইচ/পিআর