মাথা থেকে পা ঢাকা সুরক্ষা পোশাকে কাতার এয়ারের ক্রুরা
মহামারি করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে গত কয়েক মাস ধরে ফ্লাইট পরিচালনায় নানা বাধার সম্মুখীন হচ্ছে বিমান সংস্থাগুলো। এ পরিস্থিতিতে এসব বাধার পাশাপাশি পরিষেবাগুলো কীভাবে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকরভাবে পুনঃপ্রবর্তন করা যায় সে বিষয়গুলো মানিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
এ রকম নানা বিষয় মাথায় রেখে ফ্লাইট পরিচালনার সময় কেবিন ক্রুদের সারা শরীরে ডিসপোজেবল (ব্যবহারের পর ফেলা দেয়া হয় এমন) সুরক্ষা পোশাক পরিধান নিশ্চিত করাসহ স্বাস্থ্যসুরক্ষা ব্যবস্থা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে কাতার এয়ারওয়েজ।
যাত্রী ও ক্রুদের মধ্যে যোগাযোগ কমাতে বিমান সংস্থাটি এসব সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ পদক্ষেপগুলো নেয়ায় আসন গ্রহণসহ ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) পরিহিত কেবিন ক্রুদের কারণে বিমানের পরিবেশ পাল্টে যাবে। সেই সঙ্গে যাত্রী ও কেবিন ক্রুদের মধ্যে আগের মতো যোগাযোগ থাকবে না।
হ্যান্ড গ্লোভস ও মাস্ক পরতে হবে কাতার এয়ারয়েজের কেবিন ক্রুদের। তবে অতিরিক্ত সুরক্ষার জন্য নতুন পদক্ষেপ হিসেবে তাদের ইউনিফর্মের উপর ডিসপোজেবল স্যুট ও চোখে সেফটি গগলস পরতে হবে।
আগামী ২৫ মে থেকে ভ্রমণকালে কাতার এয়ারওয়েজের যাত্রীদেরও মাস্ক বা ফেস কভার পরতে হবে। সেই সঙ্গে নিজেদের আরামের জন্য যাত্রীদের এ ধরনের সুরক্ষা সরঞ্জাম আনার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্যবিধি যেমন নিয়মিত হাত ধোয়া, চোখ-নাক ও মুখে হাত দেয়া থেকে বিরত থাকার জন্যেও যাত্রীদের নানাভাবে উৎসাহ দিচ্ছে কাতার এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ।
কাতার এয়ারওয়েজের প্রধান নির্বাহী আকবার আল বাকের বলেন, আমাদের কেবিন ক্রু ও যাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত এবং মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এই অতিরিক্ত সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলো চালু করা হচ্ছে। একটি বিমান সংস্থা হিসেবে যাত্রীদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিতে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফ্লাইট পরিচালনা করতে চাই। সেই সঙ্গে যাত্রীদের এই আশ্বাস দিতে চাই যে, সুরক্ষায় আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার।
সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে বিমানের ভেতরে যেসব জায়গায় সবাই এক হওয়ার সুযোগ আছে সেসব জায়গায় চলাচল বন্ধ রাখা হবে। এছাড়া বিজনেস ক্লাসগুলো আলাদা করা হবে এবং সার্বক্ষণিক দরজা বন্ধ থাকবে। বিজনেস ক্লাসের যাত্রীদের খাবার টেবিলে না দিয়ে ট্রেতে করে আলাদাভাবে সরবরাহ করা হবে। তবে ইকোনমি ক্লাসের যাত্রীদের খাবার আগের মতো করে সরবরাহ করা হবে। যাত্রী ও কেবিন ক্রুদের সহজপ্রাপ্যতার জন্য বিমানের ভেতর হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা থাকবে।
কাতার এয়ারওয়েজের বিমানগুলোর ভেতর ও বাইরে ধুয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে। প্রত্যেক ফ্লাইটের পর ভালো করে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে যাত্রীদের ব্যবহৃত হেডসেটগুলো। এছাড়া ইউভি-সি হালকা প্রযুক্তির সঙ্গে জীবাণুনাশক রোবট স্থাপনেও বিনিয়োগ করেছে কাতারের হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
এমএসএইচ/এমএস