এবার কেজিতে ব্রয়লার মুরগির দাম কমল ২০ টাকা
হঠাৎ অস্বাভাবিক বাড়ার পর একদিনেই ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে কমেছে ২০ টাকা পর্যন্ত। গত শুক্রবার হঠাৎ করেই এক লাফে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে যায়। তবে সপ্তাহ না ঘুরতেই রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে মুরগির দাম কমেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনাভাইরাসের শুরুতে মুরগির দাম কিছুটা কমেছিল। এরপর রোজার শুরুতে চাহিদা বাড়ায় ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা বাড়ে। ওই দাম সপ্তাহ দুই স্থির থাকার পর শুক্রবার হঠাৎ অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। এরপর চাহিদা কমে যাওয়ায় চারদিনের মাথায় আবার বড় অংকে দাম কমেছে
রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, যা গত শুক্রবার ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় উঠেছিল। তার আগে ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। আর করোনার শুরুর দিকে ছিল ১১০ থেকে ১১৫ টাকা। এ হিসেবে কেজিতে ২০ টাকা কমার পরও এখনও ব্রয়লার মুরগির দাম করোনার শুরুর দিকের তুলনায় বেশি।
ব্রয়লার মুরগির দামের বিষয়ে রামপুরার ব্যবসায়ী মিলন বলেন, ‘করোনার পর থেকে চাল, তেল, পেঁয়াজ, আদার দাম হুটহাট করে বাড়ছিল অথবা কমছিল। এখন ব্রয়লার মুরগির দামের ক্ষেত্রে সেই অবস্থা দেখা যাচ্ছে। আমরাও বুঝতে পারছি না ব্রয়লার মুরগির এমন দাম বাড়া-কমার পেছনের কারণ কী।’
তিনি বলেন, ‘করোনার শুরুর দিকে ব্রয়লার মুরগি ১১০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। এরপর রোজার মধ্যে বেড়ে তা ১২০ টাকা হয়েছে। সেই মুরগির দাম শুক্রবার ১৬০ টাকা কেজি হয়ে যায়। পাইকারিতে দাম বাড়ায় আমরা এমন দাম বাড়াতে বাধ্য হই। আজ যে মুরগি কিনেছি তাতে কেজিতে ২০ টাকা কম পড়েছে। এ কারণে ১৪০ টাকা কেজি বিক্রি করছি।’
খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী ফিরোজ বলেন, ‘গত শুক্রবার ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৫০ টাকার ওপর ওঠার পর বিক্রি অনেক কমে যায়। ব্রয়লার মুরগির দাম শুনে বেশিরভাগ ক্রেতাই অবাক হচ্ছিলেন এবং ফিরে যাচ্ছিলেন। যে কারণে শুক্রবার কেনা মুরগি গতকালও আমাদের বিক্রি করতে হয়েছে ১৪০ টাকায়।’
তিনি বলেন, আজ আবার পাইকারিতে কম দামে মুরগি কিনতে পেরেছি। আজ যে দামে কেনা পড়েছে তাতে ১৩০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যাবে। এর নিচে বিক্রি করা সম্ভব না। আমাদের ধারণা, ব্রয়লার মুরগির চাহিদা বাড়লে সামনে আবার দাম বেড়ে যেতে পারে। আবার উল্টোটাও হতে পারে। কারণ ক্রেতা না পাওয়ায় করোনার মধ্যে ১১০ টাকা কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে।
মালিবাগ হাজীপাড়া থেকে ব্রয়লার মুরগি কেনা ফাতেমা বেগম বলন, ‘গত শুক্রবার মুরগি কিনতে এসে দেখি ব্রয়লার ১৫০ টাকা কেজি চাচ্ছে। তাই মুরগি না কিনে ফিরে গিয়েছিলাম। আজ দাম কিছুটা কমে ১৩৫ টাকা হয়েছে। অনেক দিন মাংস খাওয়া হয়নি তাই একটি মুরগি কিনলাম।’
তিনি বলেন, আমাদের মতো গরিব মানুষেরা বর্তমানে খুব কষ্টে আছে। একদিকে কাজ নেই, অন্যদিকে বাজারে সবকিছুর দাম বেশি। রোজার প্রথম দিন মাংস খেয়েছিলাম। এরপর আর মাংস খাওয়া হয়নি। সবজি খাব তারও উপায় নেই। বেশিরভাগ সবজির কেজি ৪০ টাকা।
এমএএস/এসআর/এমকেএইচ