করোনা: মৌ চাষীদের সহায়তা দেবে বিসিক
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশের সর্বত্র গণপরিবহন সুবিধা সীমিত থাকায় মধু সংগ্রহে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন মৌ চাষী ও মৌয়ালরা। এর পরিস্থিতিতে তাদেরকে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করবে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)।
বিশেষ করে, সুন্দরবনে মধু সংগ্রহের মৌসুম শুরু হওয়ায় সেখানে মৌয়ালরা যেতে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হলে বিসিক এ ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান করবে।
বুধবার (৮ এপ্রিল) শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিসিকের আধুনিক পদ্ধতিতে মৌ চাষ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক খন্দকার আমিনুজ্জামান বলেন, প্রতিবছর ১৫ অক্টোবর থেকে ৩১ মে পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থান হতে মধু সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। বর্তমানে দেশে আড়াই হাজার মৌ খামার ও ১ লাখ ২০ হাজারের অধিক মৌ চাষের বাক্স রয়েছে। এসব খামার থেকে প্রতি ছর গড়ে ১০ হাজার মেট্রিক টন মধু উৎপাদিত হয়। ইতোমধ্যে আট হাজার মেট্রিক টন মধু সংগৃহীত হয়েছে। বর্তমানে সুন্দরবনের মধু সংগ্রহের মৌসুম চলছে।
এ প্রসঙ্গে সুন্দরবনে মধু আহরণে কোনো সমস্যা দেখা দিলে মৌয়ালদের বিসিকের খুলনা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী ও সাতক্ষীরা জেলার অফিসগুলোতে যোগাযোগ পরামর্শ দিয়েছেন বিসিকের চেয়ারম্যান মোস্তাক হাসান। তিনি মধু সংগ্রহে মৌয়াল ও মৌ চাষীদের বিসিকের পক্ষ হতে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।
বিসিক সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে বিসিকের ৬টি মৌমাছি পালন কেন্দ্র রয়েছে এবং বর্তমানে দেশে প্রায় ৮ হাজার মৌ চাষী রয়েছেন। প্রতিবছর মার্চ মাসজুড়ে দিনাজপুর, নাটোর, মাগুরা, গাজীপুর, ঠাকুরগাঁও, রংপুরসহ বিভিন্ন জেলায় লিচুবাগানে মৌ-চাষ করে মধু সংগ্রহ করে থাকে চাষীরা। তবে, করোনাভাইরাসের প্রভাবে উত্তরাঞ্চলসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে মৌ চাষী ও মৌয়ালদের মধু উৎপাদনে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া, বিগত কয়েক বছরে বৈশ্বিক বাজারে এ দেশের মধুর যে চাহিদা তৈরি হয়েছে করোনায় সেটিও কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মধুর বাজার জাপানে বাংলাদেশ মধু রফতানি করছে। নব্বয়ের দশকে সর্বপ্রথম ভারতে মধু রফতানি করে বাংলাদেশ।
এমইউএইচ/এমএসএইচ/পিআর