শেয়ারবাজারে লেনদেনের ৭০ ভাগই রেনাটার
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে টানা বন্ধের আগে বুধবার (২৫ মার্চ) দেশের শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা মিলেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক ও লেনদেন উভয় বেড়েছে।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন বাড়াতে প্রধান ভূমিকা রেখেছে রেনাটা লিমিটেড। মূলত এই কোম্পানিটির ওপর ভর করেই লেনদেন বেড়েছে। ডিএসইর মোট লেনদেনের ৭০ শতাংশই হয়েছে ওষুধ খাতের এই কোম্পানির শেয়ারের।
এদিন রেনাটা লিমিটেড এমন ভূমিকায় অবতীর্ণ না হলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মোট লেনদেনের পরিমাণ ১০০ কোটি টাকার মধ্যে আটকে থাকত।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, বুধবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৪৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে রেনাটার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৪৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
অবশ্য রেনাটার শেয়ারের সিংহভাগ লেনদেন হয়েছে ব্লক মার্কেটে। ব্লক মার্কেটে কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৩৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা। বাকি ৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে মূল মার্কেটে।
ডিএসইর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আজ যদি রেনাটার শেয়ার ব্লক মার্কেটে লেনদেন না হতো তাহলে হয়তো লেনদেন ১০০ কোটির মতো হতো।’
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘সার্কিট ব্রেকার নতুন নিয়ম করার কারণে শেয়ারবাজারে লেনদেন কমা দেখা দিয়েছে। শেয়ারের দাম একটি নির্দিষ্ট সীমার নিচে নামতে না পারায় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম অপরিবর্তিত থাকছে।’
অব্যাহত দরপতনের হাত থেকে শেয়ারবাজারকে রক্ষা করতে গত বৃহস্পতিবার নতুন সার্কিট ব্রেকার চালু করা হয়।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন শুরু হবে শেষ পাঁচ কার্যদিবসের ক্লোজিং প্রাইজের গড় মূল্য দিয়ে। এর নিচে কোনো কোম্পানির শেয়ারের দাম নামতে পারবে না।
নতুন নিয়মে প্রথম দিন ১৯ মার্চ ডিএসইতে লেনদেন হয় ৪৯ কোটি টাকা। আর চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার লেনদেন হয় ১৪৫ কোটি টাকা। এছাড়া সোমবার ২৫৪ কোটি এবং মঙ্গলবার ১৩৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়।
এমএএস/এফআর/পিআর