অর্ধেকে নামল ডিএসইর ব্লকের লেনদেন
মন্দার মধ্য দিয়ে গত সপ্তাহ পার করেছে দেশের শেয়ারবাজার। সপ্তাহজুড়ে মূল্য সূচকের পতনের সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এই মন্দা বাজারে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটের লেনদেনেও মন্দা দেখা গেছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় ডিএসইর ব্লক মার্কেটের লেনদেনের পরিমাণ কমে অর্ধেকের নিচে নেমেছে।
গত সপ্তাহে ৪৪টি প্রতিষ্ঠান ডিএসইর ব্লক মার্কেটের লেনদেনে অংশ নেয়। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর ১ কোটি ৭৯ লাখ ৮০ হাজার ৯৮৯টি শেয়ার ৬০ কোটি ৫৬ লাখ ১৪ হাজার টাকায় লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইর ব্লকে ৪৪ প্রতিষ্ঠানের ৩ কোটি ৫৭ লাখ ৯৩ হাজার ৫৭১টি শেয়ার ১৪৭ কোটি ৭৫ লাখ ৬২ হাজার টাকায় লেনদেন হয়।
এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর ব্লকে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকলেও লেনদেনের পরিমাণ কমেছে ৮৭ কোটি ১৯ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বা ৫৯ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ব্লকে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে-বিকন ফার্মা, সামিট পাওয়ার, গোল্ডেন হার্ভেস্ট, জেনেক্স ইনফোসিস, রিং শাইন, পদ্মা অয়েল, যমুনা অয়েল, সেন্ট্রাল ফার্মা, উত্তরা ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, এসকে ট্রিমস, সায়হাম কটন, ফার্স্ট ফাইন্যান্স, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স, ইয়াকিন পলিমার, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স, দুলামিয়া কটন, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, শাহজিবাজার পাওয়ার, গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, ফাইন ফুডস এবং ইনটেক।
এছাড়া ব্লকে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে-প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, কনফিডেন্স সিমেন্ট, গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন, বেক্সিমকো, এমএল ডাইং, ভিএফএস থ্রেড ডাইং, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, আমান ফিড, এনসিসি ব্যাংক, এএফসি এগ্রো, আইসিবি এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড ওয়ান, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ওরিয়ন ইনফিউশন, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল, মিরাকল, গ্রামীণ ওয়ান : স্কিম টু, অলিম্পিক এক্সেসরিজ এবং ন্যাশনাল পলিমার।
প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে গত সপ্তাহে ব্লকে সবচেয়ে বেশি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে বিকন ফার্মার শেয়ার। কোম্পানিটির ২১ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সামিট পাওয়ারের ৫ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৩ কোটি ২২ লাখ ৪৭ হাজার টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে গোল্ডেন হার্ভেস্ট।
জেনেক্স ইনফোসিসের ৩ কোটি, রিং শাইনের ২ কোটি ৮৭ লাখ ৫৫ হাজার, পদ্মা অয়েলের ২ কোটি ৭৬ লাখ ৪২ হাজার, যমুনা অয়েলের ২ কোটি ৭৩ লাখ ৮০ হাজার, সেন্ট্রাল ফার্মার ২ কোটি ৬৭ লাখ ২৪ হাজার, উত্তরা ব্যাংকের ১ কোটি ৬৬ লাখ ৬০ হাজার, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের ২ কোটি ৫৬ লাখ ২০ হাজার, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ১ কোটি ৪৭ লাখ ৩৪ হাজার এবং এসকে ট্রিমসের ১ কোটি ৬ লাখ ২০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।
বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর এককভাবে কোটি টাকার কম লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে-সায়হাম কটনের ৯৯ লাখ ৪৫ হাজার, ফার্স্ট ফাইন্যান্সের ৬৬ লাখ ৭২ হাজার, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের ৬৫ লাখ ৮৫ হাজার, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের ৬১ লাখ ৫৩ হাজার, ইয়াকিন পলিমারের ৬০ লাখ, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের ৫৭ লাখ ৬০ হাজার, দুলামিয়া কটনের ৫৫ লাখ, সুহৃদের ৫১ লাখ ৮০ হাজার এবং শাহজিবাজার পাওয়ারের ৫১ লাখ ৬০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।
এককভাবে ৪০ লাখ টাকার কম লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে-গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের ৩০ লাখ ৮০ হাজার, ফাইন ফুডসের ২৫ লাখ ৫০ হাজার, ইনটেকের ২২ লাখ ৬৮ হাজার, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ২০ লাখ ৭৬ হাজার, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২০ লাখ ৪০ হাজার, কনফিডেন্স সিমেন্টের ২০ লাখ ১৯ হাজার, গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের ১৯ লাখ ৫০ হাজার, বেক্সিমকোর ১৭ লাখ ৫০ হাজার, এমএল ডাইংয়ের ১৭ লাখ ৪০ হাজার এবং ভিএফএস থ্রেড ডাইংয়ের ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।
বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর এককভাবে ১০ লাখ টাকার কম লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে-ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ৯ লাখ ৪ হাজার, আমান ফিডের ৮ লাখ ৯০ হাজার, এনসিসি ব্যাংকের ৭ লাখ ৬৮ হাজার, এএফসি এগ্রোর ৭ লাখ ৪১ হাজার টাকা, আইসিবি এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড ওয়ানের ৭ লাখ, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৬ লাখ ২৪ হাজার, ওরিয়ন ইনফিউশনের ৫ লাখ ৯০ হাজার, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালের ৫ লাখ ৭৩ হাজার, মিরাকলের ৫ লাখ ৬৯ হাজার, গ্রামীণ ওয়ান : স্কিম টু’র ৫ লাখ ৫৮ হাজার, অলিম্পিক এক্সেসরিজের ৫ লাখ ৮ হাজার এবং ন্যাশনাল পলিমারের ৫ লাখ ৩ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।
এমএএস/এসআর/এমএস