বড় পতন ঠেকাল গ্রামীণফোন
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের পতন হয়েছে।
তবে যে হারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দরপতন হয়েছে মূল্য সূচক কমে তার থেকে বেশ কম হারে। মূলত গ্রামীণফোনের শেয়ার দাম বাড়ায় বড় পতনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে সূচক।
এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৭০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমে ২৭৬টির। আর ২৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩৪ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৬৯৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫৯১ পয়েন্টে উঠে এসেছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এদিন লেনদেনের শুরু থেকেই একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দরপতন হলেও ব্যতিক্রম ছিল গ্রামীণফোন। লেনদেনের শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম বাড়তে থাকে। এতে দিনের লেনদেন শেষে গ্রামীণফোনের শেয়ার দাম আগের দিনের তুলনায় ২২ টাকা ৪০ পয়সা বা ৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেড়েছে।
গ্রামীণফোনের শেয়ারের এই দাম বাড়ার কারণে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক বেড়েছে ২১ পয়েন্ট। অর্থাৎ গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম না বাড়লে এদিন ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক আরও ২১ পয়েন্ট কমতো। আর দাম কমলে সূচকের পতন আরও বেশি হতো।
সূচকের এই পতনের দিনে ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬৬৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৭৭০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ১০২ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে গ্রামীণফোনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৪৭ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৪২ লাখ টাকা। ১৯ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এসকে ট্রিমস।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- সামিট পাওয়ার, ওরিয়ন ইনফিউশন, কনফিডেন্স সিমেন্ট, গোল্ডেন হার্ভেস্ট, বিএসআরএম, ভিএফএস থ্রেড ডাইং এবং লাফার্জহোলসিম।
অপর শেয়ারবাজর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই ১৪৪ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ৩৮০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৫৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯৫টির এবং ১৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এমএএস/বিএ/এমকেএইচ