বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর শীর্ষে স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক
গত সপ্তাহে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর তালিকায় শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক। বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে আগ্রহী না হওয়ায় সপ্তাহজুড়েই দাম কমেছে। এতে কোম্পানিটির শেয়ারের দামে বড় ধরনের পতন হয়েছে।
এদিকে দাম কমে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ৫২ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ৯০ লাখ ৫৭ হাজার টাকা।
অন্যদিকে শেয়ারের দাম কমেছে ১৩ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ৭৫ টাকা ৫০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৫০১ টাকা ৭০ পয়সা, যা তার আগের সপ্তাহ শেষে ছিল ৫৭৭ টাকা ২০ পয়সা।
শেয়ারের এমন দাম হলেও কোম্পানিটির লভ্যাংশের চিত্র মোটেও ভালো না। ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠানটি শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। তার আগের বছর ২০১৮ সালে ২ শতাংশ, ২০১৬ সালে ১০ শতাংশ, ২০১৫ সালে ১০ শতাংশ লভ্যাংশ পায় শেয়ারহোল্ডাররা।
মূলত স্বল্প মূলধনের কোম্পানি হওয়ার কারণে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের এমন দাম। মাত্র ৬ কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ৬৪ লাখ ৬০ হাজার ৬৫০টি। এর মধ্যে ২৮ দশমিক ৫০ শতাংশ আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৬৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারী এবং ৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে।
স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের পরেই গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর তালিকায় ছিল সমতা লেদার। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ১০ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। এরপরই রয়েছে সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
এছাড়া গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- শ্যামপুর সুগার মিলের ৯ শতাংশ, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের ৭ দশমিক ৯২ শতাংশ, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ৭ দশমিক ৬০ শতাংশ, ইসলামিক ইন্স্যুরেন্সের ৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের ৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ, এফএএস ফাইন্যান্সের ৭ দশমিক ২৭ শতাংশ এবং আনলিমা ইয়াং ডাইংয়ের ৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ দাম কমেছে।
এমএএস/জেএইচ/এমকেএইচ