অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় দারিদ্র্য-বৈষম্য-জলবায়ুতে গুরুত্ব

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:০৪ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

আগামী অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় (২০২১-২০২৫) আয় বৈষম্য কমিয়ে আনা, আঞ্চলিক বৈষম্য বন্ধ করা, কর্মসংস্থান তৈরি করা, দারিদ্র্য দ্রুত কমিয়ে আনা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গুরুত্ব দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (জ্যেষ্ঠ সচিব) ড. শামসুল আলম।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসিতে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠকে বসে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ।

অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ কী জানতে চাইলে শামসুল আলম বলেন, ‘অর্থনীতিবিদরা সাধারণ অর্থনীতি বিভাগকে মতামত দেন, চিন্তা দিয়ে সহযোগিতা করবেন। আজকের বৈঠকে তারা অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় যেন যথেষ্ট সংযুক্তিমূলক অভিব্যক্তিকে যুক্ত করি, আয় বৈষম্য কমিয়ে আনি, কর্মসংস্থানের জন্য যেন ব্যাপকভাবে গুরুত্ব দিই –এ বিষয়গুলো তারা বলতে চেয়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের যে বিরূপ প্রভাব, তা থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসতে পারি বা মোকাবিলা করতে পারি কিংবা জনসহিষ্ণুতা গড়ে তোলা যায়, সে বিষয়গুলো জোর দেয়ার জন্য তারা বলেছেন।’

এ বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা বিষয়ে শামসুল আলম বলেন, ‘আমরা বলেছি, এগুলো আমাদের চিন্তা-চেতনার মধ্যে আছে। আমরা এগুলোকে বাস্তবায়নযোগ্য পরিকল্পনা হিসেবে গ্রহণ করতে চাই। যাতে আমাদের উচ্চ প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত হয়, যথেষ্ট কর্মসংস্থান তৈরি হয় এবং দারিদ্র্য দ্রুত কমে আসে। এ বিষয়গুলো আমরা অবশ্যই প্রাধান্যে রাখব। কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য কমিয়ে আনা এবং সংযুক্তমূলক উন্নয়ন অর্থাৎ উন্নয়নের সুফলতা যেন সবার কাছে পৌঁছায়। দরিদ্র যারা আছে, মানে অরক্ষিত জনগণ, তারা যেন সুফল ভোগ করতে পারে। দ্রুত দারিদ্র্য যেন কমে আসে। এ বিষয়গুলো আমরা অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় গুরুত্ব দিচ্ছি, দেব।’

jagonews24

তিনি বলেন, ‘এটি হবে রূপকল্প ২০৪১ অর্জনের প্রথম পরিকল্পনা। যার মাধ্যমে আমাদের শুরু হবে উন্নত দেশে পৌঁছানোর যাত্রা।’

সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের এ সদস্য বলেন, ‘দেশে ভোগ বৈষম্য বাড়েনি, আয়-বৈষম্য কিছুটা বেড়েছে। আয়-বৈষম্য নিরূপণটা কিছুটা বিষয়গত, বস্তুনিষ্ঠ নয়। ভোগ-বৈষম্য যেটা, সেটা বাড়েনি। আহার, খাদ্যের যে ব্যয়, সেদিক থেকে ধনী-দারিদ্র্যের ব্যবধান অতটা বাড়েনি গত ১০ থেকে ১১ বছরে।’

শামসুল আলম বলেন, ‘আয় দিয়ে বৈষম্যের পরিমাণ অনেক দেশেই করে না। এমনকি ভারতও করে না। ভোগ-বৈষম্য দেখাই সত্যিকারের প্রতিফলন ঘটায়। তবুও যাতে আয়-বৈষম্য না ঘটে, আঞ্চলিক বৈষম্য যাতে সৃষ্টি না হয়, সেদিকে আমরা যথেষ্ট সতর্ক থাকব আগামী অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায়।’

পিডি/জেএইচ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।