মেয়াদহীন ওষুধ, বাসি গ্রিল বি‌ক্রির দায়ে ১১ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৩০ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০

মেয়া‌দোত্তীর্ণ ওষুধ, বাসি চিকেন গ্রিল, শিক কাবাব বি‌ক্রি এবং রান্না করা মাংসের সঙ্গে কাঁচা মাছ, মাংস ফ্রিজে অস্বাস্থ্যকরভাবে সংরক্ষণ করার অপরা‌ধে ১১ প্রতিষ্ঠানকে ৮২ হাজার টাকা জরিমানা করা হ‌য়ে‌ছে। 

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওয়ারী, গেন্ডারিয়া ও মতিঝিল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল। জরিমানার এ অর্থ আদায় করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিম।

এ সময় সার্বিক সহযোগিতা করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধিরা।

jagonews24

আব্দুল জব্বার মণ্ডল জাগো নিউজকে জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মোবাইল টিম রাজধানীর ওয়ারী, গেন্ডারিয়া ও মতিঝিল এলাকায় তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় বাসি গ্রিল, শিক কাবাব, কাঁচা মাংসের সঙ্গে ফ্রিজের একই চেম্বারে রান্না করা মাছ-মাংস বিক্রয়ের উদ্দেশে সংরক্ষণ, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, কেক, মিষ্টি বিক্রয়ের উদ্দেশে সংরক্ষণ করার অপরাধে ১১টি প্রতিষ্ঠানকে অর্থদণ্ড করা হয়। এর ম‌ধ্যে রোদেলা রেস্তোরাঁকে ১০ হাজার টাকা, রাজ্জাক রেস্তোরাঁকে ১০ হাজার, ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভাণ্ডারকে ১০ হাজার, জে এস মেডিকেলকে ৫ হাজার, বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভাণ্ডারকে ১০ হাজার, দিনেশ ফার্মেসিকে ১০ হাজার, শান্তা ফার্মেসিকে ৫ হাজার, আরামবা‌গের বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভাণ্ডারকে ৫ হাজার, আদি টাঙ্গাইল মিষ্টি ঘরকে ১০ হাজার এবং কফি টাইমকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া এক‌টি হো‌টেল‌কে ৫ হাজার জরিমানা করা হয়।

এ সময় বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, কেক, বাসি গ্রিল, শিক কাবাব স্পটে ধ্বংস করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে ব‌লেও জানান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের এক কর্মকর্তা।

এসআই/এফআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।