করোনাভাইরাস : জনশূন্য চীন ও হংকংয়ের বিলাসবহুল মল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:১১ এএম, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০

চীন, হংকং ও ম্যাকাওয়ের হাজার হাজার দোকানপাট, শপিং মলগুলো একসময় মানুষে গিজগিজ করলেও সেগুলো এখন জনশূন্য হয়ে পড়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ভ্রমণে বিধিনিষেধ আরোপ এবং সম্ভাব্য ক্রেতাদের ঘর থেকে বের না হওয়ার কারণে এমনটা হয়েছে।

জানা গেছে, হুবেই প্রদেশ চলমান এ স্বাস্থ্য সংকটের প্রধান কেন্দ্র হলেও এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে শত শত মাইল দূরের সাংহাই, বেইজিং ও হংকংয়ের মতো মেগা সিটিতেও।

China-2

বাণিজ্য নগরী হংকংয়ের বিলাসবহুল মলগুলো প্রায়ই ক্রেতাশূন্য থাকছে। মাঝে মধ্যে এক-দুজন মাস্ক পরিহিত ক্রেতা দেখা যায়। বিলাসবহুল পণ্যের স্টোরগুলোয় ক্রেতার চেয়ে বিক্রয় সহকারীর সংখ্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। সময় কাটানোর জন্য বিক্রয়কর্মীরা হয় নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলছেন বা মোবাইলে ব্যস্ত থাকছেন।

china

গত বছরের মাঝামাঝি থেকেই হংকংয়ের ব্যবসা-বাণিজ্য বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে। সরকারবিরোধী বিক্ষোভে প্রায় থমকে দাঁড়ানো বাণিজ্য নগরীটির জন্য করোনাভাইরাস সংক্রমণ দ্বিতীয় বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা দিয়েছে। সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ও ভাইরাস শঙ্কায় দেশটির পর্যটন ও রিটেইল খাতে বড় আকারের ধাক্কা লেগেছে। তার প্রভাব পড়েছে দেশটির এয়ারলাইনস খাতে। হংকং এয়ারলাইনস ও ক্যাথে প্যাসিফিক তাদের বেশির ভাগ ফ্লাইট বন্ধ রেখেছে এবং উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কর্মী ছাঁটাই করেছে। এছাড়া তারা তাদের কর্মীদের কয়েক সপ্তাহ বা মাসখানেকের জন্য ছুটিতে যাওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে।

China

হংকংয়ের রিটেইল খাতের প্রধান গ্রাহক মূল ভূখণ্ড চীনের গ্রাহকদের আগমন গত ডিসেম্বরে পূর্ববর্তী বছরের একই মাসের তুলনায় ৫৩ শতাংশ কমেছে। তার ওপর প্রাণঘাতী ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার শঙ্কায় হংকংয়ের স্থানীয় বাসিন্দারা ঘর থেকে বের হচ্ছে না।

লিজিং প্রতিষ্ঠান স্যাভিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিকোলাস ব্র্যাডস্ট্রিট বলেন, অনেক রিটেইলার এটাকে দুর্যোগ বা বিপর্যয় হিসেবে দেখছে। গত ১০ দিনে তাদের বিক্রি সপ্তাহওয়ারি ৭০-৮০ শতাংশ কমছে। দোকানগুলোয় ক্রেতাদের আনাগোনা খুবই কম।

এএইচ/পিআর

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।