ডিএসইর ব্লকে বেড়েছে লেনদেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৪৬ পিএম, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

মন্দার মধ্যে গত সপ্তাহ পার করেছে শেয়ারবাজার। সপ্তাহজুড়ে মূল্য সূচকের পতনের সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। মন্দার বাজারে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে।

গত সপ্তাহে ৩১টি প্রতিষ্ঠান ডিএসইর ব্লক মার্কেটের লেনদেনে অংশ নেয়। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর দুই কোটি ৫২ লাখ ৬৪ হাজার ৮৩৩টি শেয়ার ৭৮ কোটি আট লাখ ৭১ হাজার টাকায় লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইর ব্লকে ২৭ প্রতিষ্ঠানের এক কোটি ১৭ লাখ ৭৫ হাজার ৭৯৫টি শেয়ার ৭১ কোটি ৯২ লাখ ৭০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়।

এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর ব্লকে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে চারটি। প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে ছয় কোটি ১৬ লাখ এক হাজার টাকা।

গত সপ্তাহে ব্লকে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিকন ফার্মাসিউটিক্যাল, ব্র্যাক ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল, সামিট পাওয়ার, লাফার্জহোলসিম, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স, উত্তরা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, সিলকো ফার্মাসিউটিক্যাল, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, এমএল ডাইং, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, কনফিডেন্স সিমেন্ট, ম্যারিকো, নর্দার্ন জুট, গোল্ডেন হার্ভেস্ট, সিনোবাংলা, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, মুন্নু সিরামিক, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স, রহিম টেক্সটাইল, ফাইন ফুডস, সমতা লেদার, ন্যাশনাল পলিমার, এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড, এসএস স্টিল, এডিএন টেলিকম এবং ওরিয়ন ইনফিউশন।

প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে গত সপ্তাহে ব্লকে সবচেয়ে বেশি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে বিকন ফার্মাসিউটিক্যালের। কোম্পানিটির ২৭ কোটি ৬৭ লাখ পাঁচ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের ১০ কোটি ৯৪ লাখ ৭৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৯ কোটি ৭৯ লাখ ৮২ হাজার টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওয়ান ব্যাংক।

এছাড়া স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালের ছয় কোটি এক লাখ এক হাজার, সামিট পাওয়ারের পাঁচ কোটি ৪৯ লাখ ৬০ হাজার, লাফার্জহোলসিমের তিন কোটি ৯০ লাখ ৬০ হাজার, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের দুই কোটি ১৭ লাখ ৯৮ হাজার, উত্তরা ব্যাংকের এক কোটি ৭৫ লাখ, ব্যাংক এশিয়ার এক কোটি ৫৩ লাখ তিন হাজার, সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালের এক কোটি ৪৬ লাখ আট হাজার, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের এক কোটি ৩২ লাখ তিন হাজার, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের এক কোটি ১৪ লাখ এবং এমএল ডাইংয়ের এক কোটি আট লাখ ৬৮ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর এককভাবে কোটি টাকার কম লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে- স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের ৭১ লাখ ৬৪ হাজার, কনফিডেন্স সিমেন্টের ৬৯ লাখ ৮০ হাজার, ম্যারিকোর ৪০ লাখ ৭৭ হাজার, নর্দার্ন জুটের ৩৪ লাখ ৩৯ হাজার, গোল্ডেন হার্ভেস্ট এগ্রোর ২৪ লাখ ৭৬ হাজার, সিনোবাংলার ২২ লাখ ৬৮ হাজার, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ১৮ লাখ, মুন্নু সিরামিকের ১৩ লাখ ৩৪ হাজার, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের ১২ লাখ ৬০ হাজার এবং রহিম টেক্সটাইলের ১০ লাখ ৪৪ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

এককভাবে ১০ লাখ টাকার কম লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে- ফাইন ফুডসের ৯ লাখ ৯৫ হাজার, সমতা লেদারের ৯ লাখ ৬০ হাজার, ন্যাশনাল পলিমারের সাত লাখ ৭৬ হাজার, এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের ছয় লাখ ৪৯ হাজার, এসএস স্টিলের ছয় লাখ ১৫ হাজার, এডিএন টেলিকমের পাঁচ লাখ ৭৯ হাজার এবং ওরিয়ন ইনফিউশনের পাঁচ লাখ ৬০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

এমএএস/এএইচ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।