পতনের বাজারে পাটের চমক
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার দেশের শেয়ারবাজারে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমলেও ব্যতিক্রম ছিল পাট খাত। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এ খাতের শতভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে।
পতনের বাজারে দাম বাড়ার দিক থেকে পাট খাত চমক দেখালেও ডিএসইতে লেনদেনে দাপট দেখিয়েছে প্রকৌশল খাত। ডিএসইর মোট লেনদেনের প্রায় ১৭ শতাংশই দখল করে নেয় এ খাতের কোম্পানিগুলো।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ডিএসইতে তালিকাভুক্ত পাট খাতের তিনটি কোম্পানির মধ্যে জুট স্পিনার্সের শেয়ারের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে ৩ টাকা ৩০ পয়সা বা ৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ। অপর দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নর্দান জুটের ৮ টাকা বা ১ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং সোনালি আঁশের ১১ টাকা ৩০ পয়সা বা ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ দাম বেড়েছে।
বাকি খাতগুলোর মধ্যে খাদ্য খাতের ৭১ শতাংশ, আইটির ৭০, সিরামিকের ৬০, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৫৯, ওষুধের ৫৩, ভ্রমণের ৫০, বিবিধের ৪১, জ্বালানির ৩৭, প্রকৌশল খাতের ৩৬, চামড়ার ৩৩, কাগজ ও মুদ্রণের ৩৩, সিমেন্টের ২৯, বস্ত্রের ২৮, ব্যাংকের ২০, বীমার ১৭ এবং আর্থিক খাতের ১৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের দাম বেড়েছে। তবে টেলিযোগাযোগ খাতের শতভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমেছে।
অপরদিকে লেদেনের ক্ষেত্রে সবার ওপরে রয়েছে প্রকৌশল খাত। এ খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেন হয় ৭৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বস্ত্র খাতের কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয় ৬৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ। ৫০ কোটি ৬৩ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত।
এ ছাড়া জ্বালানি খাতের ৪২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, বীমার ৩১ কোটি ৮৯ লাখ, সিমেন্টের ২৮ কোটি ২২ লাখ, ব্যাংকের ২৫ কোটি ৩৪ লাখ, বিবিধের ২০ কোটি ২৪ লাখ, খাদ্যের ১৯ কোটি ৬১ লাখ, টেলিযোগাযোগের ১৬ কোটি ৫৫ লাখ, আইটির ১৬ কোটি ১২ লাখ, সিরামিকের ১২ কোটি ৪৪ লাখ, আর্থিকের ৯ কোটি ৭৮ লাখ, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৮ কোটি ৫০ লাখ, চামড়ার ৭ কোটি ৬ লাখ, পাটের ৩ কোটি ৯৩ লাখ, ভ্রমণের ৩ কোটি ৬৪ লাখ, সেবা ও আবাসনের ৩ কোটি ৩৬ লাখ এবং কাগজ ও মুদ্রণের ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়।
এমএএস/জেডএ/এমএস