বাণিজ্য মেলায়ও বিখ্যাত ‘সাত রঙের চা’
সিলেট শ্রীমঙ্গলের ‘সাত রঙের চা’ সারা দেশেই বেশ জনপ্রিয়। শ্রীমঙ্গল ঘুরতে গেছেন কিন্তু সাত রঙের চা পান করেননি এমন লোক খুব কমই আছেন। তবে খুশির সংবাদ হলো- বিখ্যাত এ চা পান করতে এখন আর সিলেট যেতে হবে না। ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় পাওয়া যাচ্ছে মজাদার ও কালারফুল এ চা।
বাণিজ্য মেলার পশ্চিম প্রান্তে শিশু পার্কের ভেতর ও এর পাশেই দুটি স্টলে ‘সাত রঙের চা’ বিক্রি করছে রংধনু সাত কালার চা ঘর নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ছোট্ট স্টল দুটিতে সাত রঙয়ের চায়ের পাশাপাশি নানান স্বাদের বিভিন্ন চাও বিক্রি করা হচ্ছে।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিক্রেতা জিয়াউর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘শ্রীমঙ্গলের বিখ্যাত সাত কালারের চা মেলায় আমরা বিক্রি করছি। রঙ এবং স্বাদেও ভিন্ন এ চা।’ মেলার বাইরে খিলগাঁও তালতলায় সাত কালারের চা বিক্রি করেন বলে তিনি জানান।
চায়ের স্বাদ ও রঙের বর্ণনা দিয়ে তিনি জানান, একটি স্বচ্ছ কাচের গ্লাসে বানানো হয় সাত রঙের সাত স্বাদের চা। চায়ের প্রথম লেয়ার দুধ, দ্বিতীয় লেয়ারে গ্রিন টি, এরপর দুধ চা, এরপর স্ট্রেবেরি চা, তারপর সাদা চা, তারপর ব্ল্যাক কফি এবং শেষ লেয়ারটি অরেঞ্জ চা রয়েছে। প্রতিটি কালার ভিন্ন। স্বাদও আলাদা। চামচ দিয়ে না ঘুটা পর্যন্ত যতই নাড়াচাড়া করুন এক স্তর অন্য স্তরের সঙ্গে মিশবে না।
শুধু সাত রঙের চা নয়, পাঁচ ও দুই রঙের চা-ও পাওয়া যায় এখানে। সাত রঙের চা ৮০ টাকা। পাঁচ রঙয়ের চা ৬০ টাকা, দুই রঙয়ের চা ৪০ টাকা। এছাড়াও ২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে স্পেশাল দুধ চা, মসলা, লেমন, গ্রিন ও আদা চা। স্পেশাল কফি বিক্রি করা হচ্ছে ৫০ টাকায়।
জানা গেছে, সিলেটের শ্রীমঙ্গলে দেশে প্রথম সাত রঙের চা বানিয়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেন রমেশ রাম গৌড়। রমেশের রহস্য ভেঙে এখন দেশের বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হয় সাত লেয়ারের চা। যার একটি রাজধানীর খিলগাঁও তালতলায় রংধনু সাত কালার চা ঘর।
এদিকে টানা দু’দিন বন্ধ থাকার পর রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) ফের খুলেছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। চলবে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত।
এর আগে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি (ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি) করপোরেশন নির্বাচনের কারণে শুক্র ও শনিবার বন্ধ ছিল মেলা। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশে বাণিজ্য মেলা রাখে মেলা কর্তৃপক্ষ। এর আগে, গত ১০ জানুয়ারিও মেলা বন্ধ ছিল।
প্রসঙ্গত, ৩১ জানুয়ারি বাণিজ্য মেলার ২৫তম আসরের পর্দা নামার কথা থাকলেও ৪ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ব্যবসায়ীদের ক্ষতির কথা জানিয়ে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) মেলার মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নেয়।
বরাবরের মতো এবারও বছরের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি শুরু হয় ২৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। মাসব্যাপী এ বাণিজ্য মেলা উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য মেলা খোলা থাকে। টিকিটের দাম এ বছর প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা।
এসআই/এফআর/এমএস