শেয়ারবাজারের সমস্যার সমাধান হবে, বিশ্বাস ডিসিসিআইয়ের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হস্তক্ষেপ করায় শেয়ারবাজারের সমস্যার সমাধান হবে বলে বিশ্বাস করে ঢাকার ব্যবসায়ীদের সংগঠন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) ডিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সংগঠনটির সভাপতি শামস মাহমুদ। দেশের সমসাময়িক অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতি এবং ২০২০ সালে ডিসিসিআইয়ের বর্ষব্যাপী কর্মপরিকল্পনা জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
চলতি মাসের ৫ জানুয়ারি থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন ঘটে। এ সময়ে লেনদেন হওয়া আট কার্যদিবসের মধ্যে সাত কার্যদিবসেই বড় পতন হয়। এতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্য সূচক ৪২৩ পয়েন্ট কমে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই শেয়ারবাজারের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেয়ারবাজারে বড় ধরনের ধসের পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে নিজ কার্যালয়ে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকের পক্ষ থেকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়।
বিএসইসি থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, পুঁজিবাজার উন্নয়নে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক। পুঁজিবাজার উন্নয়নের জন্য যে ধরনের সাহায্য প্রয়োজন সরকার ধারাবাহিকভাবে তা করে যাবে। সভায় স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। স্বল্পমেয়াদি কিছু পদক্ষেপ অচিরেই কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সে বিষয়ে মতামত দেয়া হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে-শেয়ারবাজারে ব্যাংক ও ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা, মার্চেন্ট ব্যাংকার ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা পর্যালোচনা করা, আইসিবির বিনিয়োগ সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, বাজারে আস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং বাজারে মানসম্পন্ন আইপিও বৃদ্ধির লক্ষ্যে বহুজাতিক ও সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা। এ বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শেয়ারবাজার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই হস্তক্ষেপের বিষয়টি তুলে আনেন ডিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, সম্প্রতি শেয়ারবাজারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করেছেন। আমরা বিশ্বাস করি, এতে সমস্যার সমাধান হবে।
তিনি জানান, ২০২০ সালে ডিসিসিআই যে কয়টি খাতের ওপর অগ্রাধিকার দেবে তার মধ্যে শেয়ারবাজার রয়েছে। বছরটিতে বন্ড মার্কেটের পলিসি উন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ নেয়া হবে। এতে একদিকে উদ্যোক্তাদের দীর্ঘমেয়াদি অর্থের যোগান হবে, অন্যদিকে বন্ডে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা পাঁচ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।
সংবাদ সম্মেলনে শেয়ারবাজারের সমস্যার কারণও তুলে ধরেন ডিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি বিনিয়োগকারী উভয়ের মধ্যে ডে-টেডিং মানসিকতা রয়েছে। বন্ড মার্কেটের অভাব রয়েছে। এর সঙ্গে ভালো কোম্পানির অভাব রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআইয়েল ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ বাশির উদ্দিনসহ সংগঠনের পরিচালকরা।
এসআই/এমএএস/এসআর/এমকেএইচ