মসলার বাজার কিছুটা স্থিতিশীল


প্রকাশিত: ০৬:৪৩ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

প্রতি বছর কোরবানি ঈদের আগ মুহূর্তে মসলার দাম বাড়ে। তবে চলতি বছরে মসলার পাইকারি বাজার অনেকটা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। যদিও ক্রেতা সাধারণ খুচরা বাজারে গিয়ে এর ভিন্ন চিত্র খুঁজে পাচ্ছেন।

রাজধানীর পাইকারি বাজার শ্যামবাজার, কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এলাচ, দারুচিনি, আদা, রসুন, জিরা, মরিচ, হলুদসহ প্রয়োজনীয় মসলার দাম গত কয়েক মাস ধরে অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে ভারতে বন্যার কারণে বেশ ওঠা-নামা করেছিল পেঁয়াজের দাম। যদিও এখন তা অনেকটা স্থিতিশীল আছে। এদিকে জিরা ও কালোজিরার দাম বেড়েছে।

অন্যদিকে সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ; খুচরা কোনো বাজারেই মসলার দাম কম নেয়া হচ্ছে না। প্রতিবারের মতো এবারও ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন মসলার দাম বাড়ানো হয়েছে।

রাজধানীর বেশকিছু খুচরা বাজার ঘুরে পাইকারি ও খুচরা বাজারের মসলার দামের মধ্যে পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে। রাজধানীর পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি আদা মানভেদে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এলাচ কেজি প্রতি (ছোট) ১২০০ টাকা, মাঝারি ১৪০০ টাকা, বড় ১৬০০ টাকা, দারুচিনি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, লবঙ্গ ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা, গোলমরিচ ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা, কিসমিস ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, বাদাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা ও তেজপাতা ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা। গত কয়েক মাস ধরে পাইকারি বাজারে প্রায় একই দামেই বিক্রি হচ্ছে এসব মসলা জাতীয় দ্রব্য।

তবে সপ্তাহের ব্যবধানে জিরা ও কালোজিরার দাম বেড়েছে। পাইকারি বাজারে সপ্তাহ খানেক আগে কেজি প্রতি ২৩৫ টাকা থেকে ২৯০ টাকায় জিরা বিক্রি হলেও তা এখন ৩৩০ থেকে ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই সময়ে কালোজিরার দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। কয়েকদিন আগে কেজি প্রতি ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় কালোজিরা বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ৪০০ টাকা থেকে ৪৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি জিরা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, এলাচ ১৩২০ থেকে ১৭০০ টাকা, দারুচিনি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, লবঙ্গ ১৪০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা এবং তেজপাতা ১৮০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মসলার দাম সম্পর্কে রাজধানীর চকবাজার সংলগ্ন মৌলভীবাজারের পাইকারি বিক্রেতা মেসার্স মা স্টোরের সত্ত্বাধিকারী মো. নাসির উদ্দিন বলেন, এবার ঈদ উপলক্ষে মসলার দাম তেমন বাড়েনি। আন্তর্জাতিক বাজারে মসলার দাম কম থাকায়, আমাদের বাজারেও স্থিতিশীল রয়েছে। তবে ভালো মানের জিরার সংকট থাকায় এর দাম কিছুটা বেড়েছে।

এদিকে খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, গত কয়েক মাস ধরে মসলার দাম কম রয়েছে। কোরবানি ঈদেও কোনো কিছুর তেমন একটা দাম বাড়েনি। সেই অনুযায়ীই আমরা ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছি।

অন্যদিকে পাইকারি বাজারে শুকনা গুঁড়া মরিচ প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, হলুদ ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা ও ধনিয়া ১৩০ টাকা থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর বিপরীতে খুচরা বাজারে গুঁড় মরিচ প্রতি কেজি ১৮০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা, হলুদ ১৮০ টাকা থেকে ২২০ টাকা ও ধনিয়া ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আএসএস/এসএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।