৭০ হাজার পশু বিক্রি করবে আফতাব নগর হাট
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহায় মেরুল বাড্ডার (আফতাব নগর) পশুর হাটে প্রায় ৭০ হাজার পশু বিক্রি হবে বলে জানিয়েছেন আফতাব নগরের পশু ব্যবসায়ীরা। তবে গতবারের চেয়ে এবার পশুর সংখ্যা অনেক কম বলেও জানান তারা।
সোমবার সরেজমিন আফতাব নগর হাটে গিয়ে এই চিত্র দেখা গেছে। ঈদুল আজহার আর মাত্র ৩ দিন বাকি থাকলেও হাটের অনেকাংশই এখনো ফাঁকা রয়েছে। ৭০ হাজার গরু কেনাবেচার টার্গেট থাকলেও এপর্যন্ত মাত্র ২৫ হাজার গরু হাটে ঢুকেছে। অনেকে ট্রাকে গরু আনলেও বৃষ্টির ও কাঁদার কারণে সেগুলো হাটে নামাচ্ছে না।
রোববারের চেয়ে এদিন ক্রেতার সংখ্যা অনেক বাড়লেও গরুর কেনা-বেচা ছিল কম। গরু আমদানি কম থাকার কারণ হিসেবে নানা প্রতিবন্ধকতার কথা বললেন ইজারাদার মো. রায়হান।
মো. রায়হান জাগো নিউজকে বলেন, আফতাব নগরের হাট ১৯ তারিখ থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নানা কারণ দেখিয়ে সেদিন থেকে হাটে গরু ঢুকতে দেয়া হয়নি। এছাড়াও আফতাব নগরের উদ্দেশ্যে আসা গরুগুলো টঙ্গি এবং বসুন্ধরার ৩০০ ফিট সড়কের হাটে জোর করে নামিয়ে দেয়া হচ্ছে। তাই গরু এখানে আসতে পারছে না।
ভারতীয় গরু ঢুকতে না দেয়াকে এবার আমদানি কমার মূল কারণ হিসেবে জানান তিনি।
এদিকে বৃষ্টির কারণে হাটের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা চোখে পড়ে। এদিন সকাল থেকেই থেমে থেমে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি পড়ছে। ব্যবসায়ীরা নিজ উদ্যোগে প্রায় সব গরুকে প্লাস্টিকের পর্দা দিয়ে ঢেকে দিয়েছে। গরুর যাতে ঠাণ্ডা না লাগে অনেক ব্যবসায়ী চটের বস্তা দিয়েও গরু ঢেকে রেখেছেন।
তবে গতবারের তুলনায় এই হাটে এবার গরুর দাম অনেক বেশি বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। ছোট গরুর দাম ৩৫ হাজার থেকে শুরু। মাঝারি সাইজের গরু ৫০ হাজার থেকে এবং একটু বড় সাইজের গরুর জন্য গুণতে হবে লাখ খানেক টাকা।
ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন ভারতীয় গরু না আসায় এর ফায়দা নিচ্ছেন দেশি গরু ব্যবসায়ীরা।
তবে এধরণের অভিযোগ অস্বীকার করে গরু ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছরের তুলনায় গরুর খাবারের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ট্রাক ভাড়া, হাটের খরচ, গরুর পরিচর্যা আর আনুসাঙ্গিক খরচ বেড়েছে অনেক। তাই এবার গরুর দাম একটু বেশি।
এআর/এসকেডি/আরআইপি