গৃহঋণে সুদহার কমলো

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:১৮ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (বিএইচবিএফসি) বাড়ি তৈরি ও ফ্ল্যাট কেনার ঋণে সুদহার কমিয়েছে। উপজেলা সদর, উপজেলা সদরের আশপাশের এলাকা (পেরি আরবান) এবং উপজেলার যেকোনো সমৃদ্ধ এলাকায় (গ্রোথ সেন্টার) কৃষক আবাসন ঋণের সুদ এখন ৭ শতাংশ। আগে তা ছিল ৮ শতাংশ।

আর ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ছাড়া দেশের যেকোনো এলাকায় পল্লি আবাসন ঋণ, প্রবাসবন্ধু ঋণ, আবাসন উন্নয়ন ঋণ এবং আবাসন মেরামত ঋণের সুদের হার এখন ৮ শতাংশ। আগে এই হার ছিল ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ।

বিএইচবিএফসি ১২ সেপ্টেম্বর সুদের হার কমিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনটি গত ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। ১ জুলাইয়ের পর থেকে এ পর্যন্ত যেসব ঋণ মঞ্জুর হয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রেও ৭ ও ৮ শতাংশ সুদের হারই কার্যকর হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, যেসব ঋণ ১ জুলাইয়ের আগে মঞ্জুর হয়েছে, কিন্তু ঋণ বিতরণের প্রক্রিয়া ১ জুলাইয়ের পর চলমান ছিল বা রয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে গত ৩০ জুন পর্যন্ত আগের সুদের হার এবং ১ জুলাইয়ের পর থেকে নতুন সুদের হার কার্যকর হবে।

আরও বলা হয়েছে, নতুন হারের সুযোগ নিতে গেলে গ্রাহকদের সব কিস্তি হালনাগাদ থাকতে (আপ টু ডেট) হবে। কোনো গ্রাহক আপ টু ডেট না থাকলে যে তারিখে আপ টু ডেট হবেন, তার পরের মাস থেকে তার ঋণের ক্ষেত্রে নতুন সুদের হার কার্যকর হবে।

বিএইচবিএফসি এ নিয়ে গত দুই বছরে তিনবার সুদের হার কমিয়েছে। ২০০৬ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার অতি উন্নত এলাকা এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর অন্যান্য এলাকায় বাড়ি নির্মাণের জন্য সুদের হার ছিল ১২ শতাংশ।

বিএইচবিএফসি ১১ বছর পর সুদের হার কমিয়ে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ কার্যকর করে ২০১৭ সালের ১ জুলাই। একই দিন থেকে ফ্ল্যাট ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ কার্যকর করা হয়। উভয় ধরনের ঋণের সুদের হার ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে করা হয় ৯ শতাংশ।

এ ছাড়া টঙ্গী, সাভারসহ বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরে বাড়ি নির্মাণের ঋণের সুদের হার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে সাড়ে ৮ শতাংশ করা হয়।

এমইউএইচ/এসএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।