খেলাপিতে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে : অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:২০ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ঋণখেলাপি বন্ধ করতে এর জন্য দোষী ব্যক্তিদের (গ্রাহক, ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী) শাস্তির জন্য বিধান করা হবে। যেখানে বিদ্যমান আইনে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনা যাবে না, সেখানে পরিবর্তন কিংবা নতুন আইন করা হবে। এভাবে দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে দেশে ঋণখেলাপির পরিমাণ আর বাড়বে না।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে সভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

সভা শেষে অর্থমন্ত্রী জানান, আর ঋণখেলাপির পরিমাণ বাড়বে না। এ সময় এক সংবাদকর্মী জানতে চান, এর আগেও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, আর খেলাপিঋণের পরিমাণ বাড়বে না। তারপরও বাড়তে দেখা গেছে। আজকের সভায় কী এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, যার জন্য আর খেলাপিঋণ বাড়বে না বলে মনে করছেন আপনি?

জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আগে যে খেলাপিঋণ হয়েছে, যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের আমরা শাস্তির বিধানের মধ্যে নিয়ে আসব। গ্রাহক দায়ী থাকলে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকলে, তাদের বিরুদ্ধেও আমরা ব্যবস্থা নেব। সুতরাং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা যদি নেয়া যায়, দেশের বিদ্যমান আইনেই নেয়া যায়, তাহলে খেলাপিঋণ আর বাড়বে না। যেখানে নেয়া যাবে না, সেখানে আমরা আইনের পরিবর্তন আনব।’

‘আইনের পরিবর্তন যখন আসবে, তখন কারও পক্ষেই এই দায় এড়ানো সম্ভব হবে না। এর থেকে রক্ষা পাবে না, নিষ্কৃতি পাবে না’,- যোগ করেন অর্থমন্ত্রী।

বিদ্যমান আইনের কোথায় কোথায় ঘাটতি আছে, তা বলা উচিত হবে না মন্তব্য করে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘এগুলো সংশোধন করতে পারলে আমাদের ঋণগ্রহীতারা উপকার পাবেন, আমরা উপকার পাব এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যে শক্তি, তাদের যে দাপট বা এসব বিষয়গুলোতে তারা…। আমরা নিজেরাও দেখি, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এই বিষয়গুলো থেকে যাতে দেশ মুক্তি পায়, ব্যাংকিং খাত মুক্তি পায়, সেই কাজটি আমরা করে যাচ্ছি।’

পিডি/জেডএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।