তিন মাসে পুঁজিবাজারে না এলে বীমা কোম্পানির সনদ বাতিল
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, দেশে জীবন বীমা ও সাধারণ মিলিয়ে মোট ৭৫টি বীমা কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে ৪৭টি বীমা কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। বাকি ২৮টি তালিকাভুক্ত না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে এসব কোম্পানি পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত না হলে চার ধাপে তাদের সনদ বাতিল করা হবে।
রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বীমা প্রতিষ্ঠানসমূহের চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম, আইডিআরএ চেয়্যারম্যান শফিকুর রহমান পাটোয়ারী এবং বাংলাদেশ বীমা সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেনসহ বীমা কোম্পানির চেয়ারম্যান, এমডি ও খাত সংশ্লিষ্টরা।
মন্ত্রী বলেন, এক দেশে দুই আইন হতে পারে না। কেউ পুঁজিবাজারে থাকবে, কেউ বাইরে থাকবে এটা হতে পারে না। আগামী অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরের মধ্যেই পুঁজিবাজারের বাইরে থাকা ২৮ কোম্পানিকে অন্তর্ভুক্ত হতে হবে। অন্যথায় এদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। প্রথমে তাদের সাসপেন্ড করা হবে, এরপর সাময়িক সনদ বাতিল, মার্জার অ্যান্ড এমার্গেশন করা হবে। শেষ ধাপে স্থায়ীভাবে সনদ বাতি করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, সরকার একটা উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়ে লাইসেন্স দিয়ে থাকে। এই উদ্দেশ্য পূরণ না হলে লাইসেন্স বাতিল হবে এটাই স্বাভাবিক। বীমা কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে এলে পুঁজিবাজার আরো শক্তিশালী হবে।
সভায় জানানো হয়, বীমা খাতের প্রধান সমস্যাগুলো হচ্ছে- বীমা পণ্যের স্বল্পতা, বীমা লিটারেসির ব্যবস্থা না থাকা, বীমা দাবি যথাসময়ে নিষ্পত্তি না করা, দেশে সাধারণ বীমা কর্পোরেশন ব্যতীত পুনঃবীমা প্রতিষ্টান না থাকা, বীমা কোম্পানিগুলোতে কর্পোরেট গভর্ন্যান্সের অভাব, বীমা খাতে বেনকাস্যুারেন্স বিতরণ চ্যানেল পদ্ধতিটি না থাকা, জীবন বীমা প্রতিষ্ঠানগুলো একচ্যুয়ারির অভাব এবং আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারে অপর্যাপ্ততা ইত্যাদি।
এমইউএইচ/এনএফ/জেআইএম