ডিএসইতে মূল্য আয় অনুপাত কমছেই
পতনের ধারা অব্যাহত রয়েছে দেশের শেয়ারবাজারে। আগের সপ্তাহের ধারাবাহিকাতায় গত সপ্তাহের চার কার্যদিবসে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে। এ নিয়ে টানা তিন সপ্তাহ ডিএসইর মূল্য আয় অনুপাত কমলো।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহের চার কার্যদিবসের মধ্যে দুই কার্যদিবস শেয়ারবাজারে বড় পতন হয়। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্সসহ বাকি দুটি সূচকেরও বড় পতন হয়েছে। সূচকের এই পতনের মধ্যে বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এতে ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত দুই শতাংশের ওপরে কমছে।
গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৩ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে, যা সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষেও দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্টে। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত কমেছে দশমিক ২৯ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ১৮ শতাংশ।
খাতভিত্তিক তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, বরাবরের মতো সব থেকে কম পিই রেশিও রয়েছে ব্যাংক খাতের। সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭ দশমিক ৩৪ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৭ দশমিক ২৭ পয়েন্টে। অর্থাৎ পতনের মধ্যেও ব্যাংক খাতের পিই কিছুটা বেড়েছে।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা টেলিযোগাযোগ খাতের পিই রিশিও ১১ দশমিক ৪৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহে এ খাতের পিই ছিল ১১ দশমিক ১৪ পয়েন্টে। এর পরের স্থানে থাকা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের পিই ১৩ দশমিক ৪২ পয়েন্ট থেকে কমে ১২ দশমিক ১৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এ ছাড়া বীমা খাতের পিই ১২ দশমিক ১৬ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ১৩ দশমিক ৬২ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৪ দশমিক ৬২ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ১৬ দশমিক ৫৫, বস্ত্র খাতের ১৪ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট থেকে কমে ১৪ দশমিক ৬৭ এবং সেবা ও আবাসন খাতের পিই ১৫ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট থেকে কমে ১৫ দশমিক ১৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
২০-এর নিচে পিই থাকা অন্য খাতগুলোর মধ্যে খাদ্য খাতের ১৬ দশমিক ৬০ পয়েন্ট থেকে কমে ১৬ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৮ দশমিক ১০ থেকে বেড়ে ১৮ দশমিক ১১, তথ্য প্রযুক্তি খাতের ১৯ দশমিক ১০ থেকে কমে ১৮ দশমিক ৯৪ এবং আর্থিক খাতের ১৮ দশমিক ২৫ থেকে কমে ১৮ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
বাকি খাতগুলোর পিইও রেশিও ২০ পয়েন্টের ওপরে। এর মধ্যে- ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ২০ দশমিক ৪১ পয়েন্ট থেকে কমে ২০ দশমিক ৩০ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ২০ দশমিক ৭৯ থেকে কমে ১৯ দশমিক ৯৫, চামড়া খাতের ২২ দশমিক ৫৮ থেকে বেড়ে ২৫ দশমিক ২৯, বিবিধ খাতের ২৪ দশমিক ৬৫ থেকে কমে ২৪ দশমিক ৩৭, সিমেন্ট খাতের ২৬ দশমিক ৮৯ থেকে কমে ২৬ দশমিক ৪২, পেপার খাতের ৩১ দশমিক ৯১ থেকে কমে ৩০ দশমিক ১৫ এবং পাট খাতের ৪৯১ দশমিক ৩০ থেকে কমে ৪৮৮ দশমিক ১৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এমএএস/জেডএ/এমএস