আমরা থাইল্যান্ডে যাই, তারা আসেন না

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:০৮ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আমাদের এখান থেকে কেউ কেউ বেড়াতেও যায় থাইল্যান্ডে। কিন্তু আমরা মাঝে মাঝে যে দিকটায় শঙ্কাবোধ করি, সবটাই কি আসলে চিকিৎসার জন্য, সবটাই কি আসলে নিছক বেড়ানোর জন্য নাকি এর মধ্যে আরও দুর্বলতা আছে? জানি না, চিকিৎসা বিজ্ঞানের এখানে কেউ আছে কি না। আমাদের দেখার আছে, মানুষ ব্যাংকক শুধু কি চিকিৎসার জন্য যায়, নাকি আচার-আচরণের জন্যও যায়?’

শুক্রবার বিকেলে গুলশান-২ এ একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত এক মেডিকেল সেমিনারে যোগ দিয়ে একথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘ওই দিক (থাইল্যান্ড) থেকেও বাংলাদেশে আসতে হবে। না হলে ভারসাম্য রক্ষা হবে না। কিন্তু প্রতিদিন যে সাত থেকে আটটা বিমান যায় ওই শহরে, দু’পথেই (যাওয়া ও আসা) ৯৯ ভাগ আমাদের মানুষ। এর মধ্যে আমাদের শিক্ষণীয় অনেক কিছু আছে। আমরা যাই কিন্তু উনারা আসেন না। এটাকে আমরা যদি একটা সম্মানের পর্যায়ে না আনতে পারি, ব্যবসায়ী হিসেবে বললে আমাদের ক্ষতি হবে।’

বর্তমান সরকারের লক্ষ্য সব ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করারও দাবি করেন পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান, প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের নাগরিকরা অবাধ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করুন, যার পক্ষে যেটা অর্জন করা সম্ভব। কিন্তু যারা সেই আয় নেই, পারছেন না, তাদের জন্য আমাদের সরকার দায়বদ্ধ। এ জন্য ঘরের মধ্যে, দেশের মধ্যে একটা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। আপনারা দেখছেন, আমরা গ্রামে-গঞ্জে চিকিৎসার জন্য ব্যয় করছি। আশা করছি, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আরও উচ্চ পর্যায়ে আসবে। আমাদের এখানে ভালো ভালো হাসপাতাল গড়ে উঠছে।‘

এ দেশের মানুষ যেন সুচিকিৎসা পায়, সেজন্য থাইল্যান্ডের ভিসা দ্রুত পাওয়ার জন্য থাই রাষ্ট্রদূতের কাছে সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত অরুনরাং ফতোং হামফ্রেইস প্রতিশ্রুতি দেন, ভিসা পেতে বাংলাদেশিদের কোনো ধরনের সমস্যায় পড়তে হবে না।

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন থাইল্যান্ডের পিয়াথাই-২ হাসপাতালের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. উইচিত অপর্ন উইরাত এবং অর্থোপেডিক সার্জন ডা. নান্তাওয়াত উত্তামোসহ বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা।

পিডি/জেএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।