দেশের বাজারে বিএমডব্লিউয়ের নতুন গাড়ি
এখন থেকে বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যাবে বিলাসবহুল বিএমডব্লিউর সেভেন সিরিজ মডেলের নতুন সেডান গাড়ি ‘সেভেন সিরিজ এলসিআই’। নিয়ন্ত্রণের সুবিধা, ড্রাইভিং অ্যাসিসটেন্স, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিএমডব্লিউর নতুন গাড়িটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত বিএমডব্লিউ গাড়ির পরিবেশক এক্সিকিউটিভ মোটরস লিমিটেডের শো-রুমে নতুন গাড়িটি উন্মোচন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি ছিলেন এক্সিকিউটিভ মোটরসের অপারেশন্স বিভাগের ডিরেক্টর দেয়ান মুহাম্মদ সাজিদ আফজাল এবং আফটার সেলস বিভাগের ডিরেক্টর মো. বজলুল করিমসহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিএমডব্লিউ প্রতি চার বছর পরপর তাদের বর্তমান মডেলে কিছু পরিবর্তন সাধান করে, যা গাড়ির বাইরের লুক ও গাড়ির টেকনোলজিকে আরও উন্নত করে। এই পরিবর্তনকে এলসিআই বা লাইফ সাইকেল ইমপালস্ বলা হয়।
বিএমডব্লিউর নতুন সেভেন সিরিজ মডেলের গাড়ির বিষয়ে বলা হয়েছে, ইউরোপে অবস্থিত ডিএমডব্লিউর গ্রুপের সব থেকে বড় কারখানা ডিনগলফিংয়ে গাড়িটি তৈরি করা হয়।
সেভেন সিরিজ মডেলের নতুন গাড়িতে বিলাসবহুল লেদার ট্রিম, শব্দহীন আরামদায়ক অভিজ্ঞতা, ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টারের সমনএয় আই ড্রাইভে ডিজিটাল টাচ কন্ট্রোল ডিসপ্লে, প্রশস্ত রেয়ার সিট, সিটে আপশনাল ম্যাসাজ ফাংশন, আকর্ষণীয় এম্বিয়েন্ট লাইট, অপশনাল এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জ ও আরও উন্নত রেয়ার সিট এন্টারটেইমেন্ট ও অ্যাপেল কার প্লে অপশন রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশের বজারের জন্য বিএমডব্লিউর সেভেন সিরিজ মডেলের গাড়ির গঠন অন্যান্য গাড়ির তুলনায় অপেক্ষাকৃত দীর্ঘকার ঘরাণার হুইল বা চাকার বিবেচনায় তৈরি করা হয়েছে। সামনে ও পেছনের চাকার দূরত্ব ১০ দশমিক ৫ ফুট হওয়ার কারণে যাত্রীরা বসে, বিশেষ করে যারা পেছনের আসনে বসবেন তারা বসার জন্য বেশি প্রশ্বস্ত জায়গা পাবেন। সবমিলিয়ে প্রায় ১৭ দশমিক ২৫ ফুটের বিলাসবহুল সেডানটি এর আগের মডেলের গাড়িটি থেকে ২২ মিলি দীর্ঘ।
সেভেন সিরিজ মডেলের গাড়িতে ফুল হাইব্রিড ড্রাইভ সুবিধা রয়েছে জানিয়ে বলা হয়, গাড়ি চালুর শক্তি উৎপাদন হবে পেট্রল ইঞ্জিন অথবা ইলেকট্রনিক মোটর কিংবা দুটি পদ্ধতিতেই। ফলে বিএমডব্লিউ এক্সড্রাইভ ফিচারের মাধ্যমে গাড়ির চারটি চাকাতেই শক্তি ছড়িয়ে যাবে। এই পদ্ধতি থেকে সর্বোচ্চ ৩৯৪ এইচপি এবং সর্বোচ্চ টর্ক ৬০০ এনএম পাওয়া যাবে।
২৯৯৪ সিসি সিক্স সিলিন্ডার ইন-লাইন পেট্রোল ইঞ্জিনটিতে টুইনপাওয়ার টার্বো প্রযুক্তি রয়েছে। এটির গতি প্রতি ঘণ্টায় শূন্য থেকে ১০০ কিলোমিটারে পৌঁছাতে মাত্র ৫ দশমিক ১ সেকেন্ড সময় লাগবে। এই মডেলের গাড়িটি প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার গতি তুলতে পারে। এই গাড়িটি বিএমডব্লিউ ইড্রাইভ প্রযুক্তিতে পাওয়া যাবে, যা উচ্চ-ভোল্টেজের ব্যাটারিতে শক্তি যোগাতে ইলেকট্রিক মোটরটিকে ৮-স্টিপট্রনিক জেনারেটরের ফাংশনে সহায়তা করে’ জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বিএমডব্লিউর সেভেন সিরিজ মডেলের নতুন গাড়িটিতে গ্রাহকরা পাঁচ বছরের ফ্রি সার্ভিস পাবেন। একই সঙ্গে পাঁচ বছরের ফ্রি যন্ত্রাংশ, রক্ষাবেক্ষণ এবং মেরামত সুবিধা রয়েছে। ক্রয়ের তারিখ থেকে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য গ্রাহকদের অতিরিক্ত কোনো ব্যয় বহন কতে হবে না।
বিলাসবহুল গাড়িটি বাংলাদেশের বাজারে নিয়ে আসার কারণ হিসেবে এক্সিকিউটিভ মোটরসের অপারেশন্স বিভাগের ডিরেক্টর দেওয়ান মুহাম্মদ সাজিদ আফজাল বলেন, বাংলাদেশে বিলাসবহুল গাড়ির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ইতোমধ্যে বিএমডব্লিউ বাংলাদেশে দুর্দান্ত ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা এবং আভিজাত্যের আদর্শ প্রতীক হিসেবে নিজেদের চলমান ধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশকে হাই অ্যান্ড ভেহিক্যালের উপযুক্ত গন্তব্যস্থল হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিএমডব্লিউ সেভেন সিরিজ মডেলের নতুন গাড়ি উন্মোচনের পাশাপাশি বিশ্বমানের সেবা নিশ্চিত করেছে।
এমএএস/জেডএ/এমকেএইচ