কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণে চীনের বিনিয়োগ চায় ডিসিসিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:১৬ পিএম, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

দেশের কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও প্রযুক্তির আধুনিকায়নে চীনের সহযোগিতা এবং বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ডিসিসিআই এবং বাংলাদেশ সফররত চীনের লিয়াওনিং ফেডারেশন অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে বিজনেস ম্যাচ-মেকিং অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় চীনের ব্যবসায়ী সংগঠনের চেয়ারম্যান ঝাও ইয়ানকিংয়ের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের বাণিজ্য প্রতিনিধিদল বিজনেস ম্যাচ-মেকিংয়ে অংশগ্রহণ করেন।

বাণিজ্য সহযোগিতা বাড়াতে ব্যবসায়ী এ দুই সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়। ডিসিসিআই-এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী এবং লিয়াওনিং ফেডারেশন অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান ঝাও ইয়ানকিং নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।

ঢাকা চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বলেন, চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য সহযোগী দেশ এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরের চীন ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ১২.৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা কি না বাংলাদেশের সার্বিক বৈদেশিক বাণিজ্যের ১৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। ওই অর্থবছরে চীনের সঙ্গে দেশের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালে বাংলাদেশে চীনের সরাসরি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১.০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যার অধিকাংশই ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, তৈরি পোশাক এবং আর্থিক খাতে।

ওয়াকার চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের কৃষিখাতে চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের বিষয়টি বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন।

DCCI-(2).jpg

এছাড়া তৈরি পোশাক, ওষুধ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ইলেকট্রনিক্স এবং অটোমোবাইল খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের চীনের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের আহ্বান জানান তিনি।

প্রতিনিধি দলের দলনেতা ঝাও ইয়ানকিং বলেন, লিয়াওনিং প্রদেশটি চীনের উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত, যা ভৌগলিক অবস্থানের দিক থেকে জাপান, উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও মঙ্গোলিয়ার বেশ নিকটবর্তী।

ওই অঞ্চলের দেশগুলোতে পণ্য রফতানির লক্ষ্যে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের লিয়াওনিং প্রদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, লিয়াওনিং প্রদেশটি লৌহ, নিকেল, ম্যাগনেশিয়াম প্রভৃতি খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ এবং লিয়াওনিং প্রদেশে বিশেষায়িত প্রায় ৩৯টি পণ্য উৎপাদিত হয়।

পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ ও লিয়াওনিং প্রদেশের মধ্যকার বাণিজ্য সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য চেম্বারগুলোর মধ্যে যোগাযোগ আরও বাড়ানোর ওপর জোর দেন।

আলোচনাকালে ডিসিসিআই সহ-সভাপতি ইমরান আহমেদ, পরিচালক এনামুল হক পাটোয়ারী, এস এম জিল্লুর রহমান এবং সংশ্লিষ্ট খাতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এসআই/আরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।