আবারও সিআইপি হলেন আহসান খান চৌধুরী
রফতানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরীকে আবারও ‘বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) হিসেবে নির্বাচিত করেছে সরকার। দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এই মর্যাদা দেয়া হলো।
এ নিয়ে সপ্তম বারের মতো সিআইপি'র মর্যাদা পেলেন আহসান খান চৌধুরী। আগের ছয়বারের তিনবার তিনি পেয়েছিলেন রফতানি বাণিজ্যে বিশেষ অবদানের জন্য ও তিনবার পেয়েছিলেন শিল্প খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য।
দেশের রফতানি বাণিজ্যে অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ১৩৬ জনকে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি, রফতানি) নির্বাচন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সিআইপি (বাণিজ্য) নির্বাচিত হয়েছেন এফবিসিসিআইয়ের ৪৬ পরিচালক।
২০১৭ সালের জন্য নির্বাচিত এই ব্যক্তিরা সিআইপি কার্ড পাবেন। গত শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞপন অনুযায়ী ২০১৭ সালে সিআইপি (রফতানি) নির্বাচিত হন আহসান খান চৌধুরী। তিনি প্রাণ ডেইরি লিমিটেডের পরিচালক হিসেবে সিআইপি হয়েছেন।
এর আগে ২০১৬ সালে মাঝারি শিল্প (উৎপাদন) খাতে ‘সিআইপি (শিল্প) নির্বাচিত হন আহসান খান চৌধুরী। তিনি আরএফএল প্লাস্টিকস্ লিমিটেডের পরিচালক হিসেবে সিআইপি হয়েছেন।
এরও আগে ২০১৫ সালের জন্য ‘বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ’ ব্যক্তি হিসেবে (সিআইপি-শিল্প) তাকে মনোনীত করে শিল্প মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া রফতানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্রাণ অ্যাগ্রো লিমিটেডের পরিচালক হিসেবে ২০১৪ সালে সিআইপি (রফতানি) কার্ড পান তিনি। সব মিলিয়ে তিনি ৪ বার সিআইপি (রফতানি) এবং তিনবার সিআইপি (শিল্প) নির্বাচিত হলেন।
সিআইপি নীতিমালা অনুযায়ী, নির্বাচিত ব্যবসায়ীদের সিআইপি কার্ড প্রদান করা হয়। কার্ড পাওয়ার পর থেকে এক বছরের জন্য সিআইপিরা ব্যবসাসংক্রান্ত ভ্রমণের সময় বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণের অগ্রাধিকার পাবেন। সহজে ভিসা পাওয়ার জন্য তাদের অনুকূলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে ‘লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন’ দেবে। বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুবিধা এবং সচিবালয়ে প্রবেশের পাস পাবেন তারা। এ ছাড়া সরকার শিল্পবিষয়ক নীতিনির্ধারণী কোনো কমিটিতে সিআইপিদের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। এ ছাড়া বিদেশে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বৈঠকের সুযোগ পাবেন সরকারি নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে।
আহসান খান চৌধুরী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত মেজর জেনারেল (অব.) আমজাদ খান চৌধুরীর ছেলে। ১৯৯২ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পড়াশোনা শেষ করে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপে যোগদান করেন তিনি। ৪৭ বছর বয়সী আহসান খান ব্যক্তিগত জীবনে দুই সন্তানের জনক।
উল্লেখ্য, ১৯৮১ সালে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ যাত্রা শুরু করে। তখন থেকেই গ্রুপের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন মেজর জেনারেল (অব.) আমজাদ খান চৌধুরী। ২০১৫ সালের ৮ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এমইউএইচ/এসএইচএস/পিআর